নওগাঁর পোরশা এলাকায় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আমন চাষাবাদ হুমকিরমুখে
-
প্রকাশের সময় :
সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০২২
-
১৭০
বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
শহিদুল ইসলাম, পোরশা, নওগাঁ থেকে……………………………
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে অতিবৃষ্টিতে দেশের উপকূলীয় বিভিন্ন জেলায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। অথচ ভরা বর্ষা মৌসুমেও নওগাঁ জেলা পোরশা উপজেলা বৃষ্টির দেখা নেই। প্রকৃতির এ খামখেয়ালিতে চিরচেনা বর্ষা মৌসুম যেন এখন শুধুই কাগজে। ফলে পানির অভাবে এই জেলার কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপণ করতে পারছেন না। ডোবা-নালায় পর্যাপ্ত পানি না থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে কৃষক। ফলে বর্ষা মৌসুমেও জমিতে সেচ দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
অন্যদিকে জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ না হওয়ার উদ্বিগ্ন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারাও। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয়ে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, গত বছর বর্ষা মৌসুমে জেলায় ৮৭ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চাষ হয়েছিল ৮৫ হাজার ৫৭৫ হেক্টর। বৃষ্টির পানির অভাবে ১ হাজার ৬২৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করতে পারেননি কৃষকরা। এ বছর জেলায় ৮৫ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত ৫১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করা সম্ভব হয়েছে।
বৃষ্টির অভাবে ডিজেল চালিত শ্যালোইঞ্জিন ও বৈদ্যুতিক মোটর দিয়ে সেচের মাধ্যমে ৩৪ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করার চেষ্টা করছেন কৃষকরা। আষাঢ় মাস শেষ হয়ে গেছে, শ্রাবণও অর্ধেক চলে গেছে। এখন যদি প্রাকৃতিক নিয়মে বৃষ্টিপাত না হয়, তাহলে এবারো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রার জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করা সম্ভব হবে না।
নওগাঁজেলা পোরশা উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের বদ্ধপুরএলাকার চাষী মোঃ আনিশুর মাস্টার বলেন, আমার তিন একর জমির মধ্যে এক একর আমন ধানের চারা রোপণ করতে পেরেছি। এখন দুই একর জমি পানির অভাবে ধানের চারা রোপণ করতে পারছি না। কিছু জমিতে ডিজেল চালিত শ্যালোইঞ্জিন দিয়ে চাষ করার চেষ্টা করছি। একই ইউনিয়নের গোপিনাথপুর এলাকার শফিকুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, শাহ জালাল মন্ডলও একই কথা বলেন।
এদিকে বৃষ্টি না হওয়ায় পানির অভাবে রোপা আমন আবাদ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন নওগাঁ জেলার কৃষকরাও এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সেচের মাধ্যমে আমন আবাদের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কৃষকরা জানান, পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় জমিতে পানি নেই। অনেক জমি পানির অভাবে ফেটে যাচ্ছে। কৃষকরা আমনের চারা রোপণ করতে পারছেন না। আকাশে মেঘের ভেলা ভেসে বেড়ালেও বৃষ্টি হচ্ছে না। আর মাঝে মাঝে যে বৃষ্টি হচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। সেচের মাধ্যমে জমিতে পানি দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা চুষে নিচ্ছে মাটি।
নওগাঁ পোরশা সদর উপজেলার নিতপুর এলাকার কৃষক মো. নজরুল ইসলাম জানান, আমরা মাঝারি ও উঁচু ভিটা জমিতে আষাঢ়ের শেষ সপ্তাহের মধ্যেই আমন ধানের চারা রোপণ করি। বর্ষা শেষ অথচ বৃষ্টি নেই। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্প নওগাঁ জেলার সহকারী প্রকৌশলী জানান, অন্যান্য বছরে সচরাচর এ সময়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়।#
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ