# ধোবাউড়া( ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সদর সুতিয়া নদীরপাড় এলাকায় বৃহস্পতিবার (২১ আগষ্ট) সন্ধ্যায় হাওলাত টাকা পরিশোধ করতে ১৪ দিনের শিশুকে অন্যত্র ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন দাদী। স্থানীয়রা বিষয়টি মানতে না পেরে গোপনে প্রশাসনের নজরে আনেন। তাৎক্ষনিক শিশুটি উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে উপজেলা প্রশাসন।।
সরে জমিনে শিশুটির মা ও স্থানিয় সূত্রে জানা যায়, সদর দর্শা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে বাচ্চুর কাছে দু সম্পর্কের বোনজামাই ৪০ হাজার টাকা পায়। সাংসারিক অসচ্ছলতার কারণে টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়। গত ১৪ দিন আগে তাদের সংসারে একটি পুত্রসন্তান জন্ম নেয়। সম্প্রতি শিশুটির দাদী নুরজাহান শিশুটি বিক্রি করে পুতের দেনা দেয়ার পরিকল্পনা করে বিক্রি করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে তাৎক্ষনিক উদ্ধার করেন।
শিশুটির বাবা বলেন , পাওনা টাকা দিতারিনা জোড়পূর্বক আমার বাচ্চাটি বিক্রি করে টাকা নিতাছে। শিশুটির মা চম্পা আক্তার বলেন, দিতামনা বাচ্চাটি কোলতে কাইড়া নিছে শাশুরী। শিশুটির দাদী নূরজাহান বলেন, বিক্রি করতাছিনা পালক দিতাছি। টাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. উজ্জল হোসেন বলেন, সদরের দর্শা গ্রামে একটি ছেলে শিশু বিক্রি করেছে বলে জাতে পারি। তাৎক্ষনিক শিশুটিকে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে দিয়ে খাবারের জন্য ৫ হাজর টাকা নগদ দেয়া হয়েছে।#