নাজিম হাসান,রাজশাহী……………………………………………………..
বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশিদ বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের যিনি আইজিপি মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে জাতিসংঘ থেকে তিনি স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞার) প্রাপ্ত কর্মকর্তা। আমি আশঙ্কা করছি আজকে পুলিশ যেভাবে অন্যায় এবং অবৈধভাবে জনগণের উপর হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করছে এবং যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে অতিসত্তর হয়তো পুলিশ বাহিনীও এই স্যাংশনের শিকার হবে। এটি হলে দেশের জন্য ও জাতির জন্য কলঙ্ক এবং ভয়াবহ ক্ষতি হবে। আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় গণসামাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্য মামলা, পুলিশি হয়রানি, হামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ সমন্বয় কমিটি বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। বিএনপির এই সংসদ সদস্যের দাবি, বিএনপি’র সমাবেশে মানুষের ভিড় দেখে সরকার ভয় পেয়েছে। সরকার আজকে সাংঘাতিকভাবে বেসামাল ও নড়বড়ে অবস্থার মধ্যে আছে। সংবাদ সম্মেলনে হারুনুর রশিদ বলেন, রাজশাহী বিএনপির দুর্গ। রাজশাহী বিভাগের সকল আসনে এক সময় জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা ছিলেন। রংপুর, সিলেট, বরিশাল সহ দেশের অন্যান্য বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে সরকার যানবাহন ও খাবার হোটেল বন্ধ করে দিলেও মানুষের ঢল নামে ওইসব সমাবেশে। আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশেও একই চিত্র থাকবে। সমাবেশ ঘিরে যানবাহন বন্ধ করা হলে প্রয়োজনে আমরা দলবল নিয়ে সড়ক পথে পায়ে হেঁটে মিছিল করে আসবো। দেখি পুলিশ কত আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিতে পারে, গুলি চালাতে পারে।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি সভাসমাবেশ করছে উল্লেখ করে হারুন বলেন, এই সরকার গত ১৫ বছর মানুষের উপর অত্যাচার, নির্যাতন, গুম, খুন, অপহরণ করে মানুষকে বর্তমান সময়ে যে দুর্বিষহ যন্ত্রণার মধ্যে রেখেছে, মানুষকে বর্তমান সময়ে ভয়াবহ সংকটের মধ্যে রেখেছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধি, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি অন্যায় নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের যে ভয়াবহ মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে, এর প্রতিবাদে আমরা সভা সমাবেশ করছি। এসব সভা সমাবেশে সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখে সরকার আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।
তনিি আরো বরনে, আগামী ৩ তারিখ রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশে কোন শক্তি পারবে না আমাদের গতি রোধ করতে, জনতার জোয়ারকে ঠেকাতে পারবে না এই সরকার। বিএনপির গণসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে ব্যবহার করছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে বিএনপির নেতা কর্মীদের নামে যেসব মামলা হচ্ছে তার প্রতিটিতেই পুলিশ নিজেই বাদী হয়ে মামলা করছে। এই বিভাগের বিভিন্ন থানায় এরই মধ্যে ৫ হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
হারুন বলেন, বিএনপির অফিসে গিয়ে আওয়ামী লীগের গুন্ডারা ককটেল ফুটাচ্ছে, বিএনপি অফিসে গিয়ে তারাই বিভিন্ন রকম অকারেন্স ঘটাচ্ছে, আর মামলা করা হচ্ছে আমাদের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে। বলা হচ্ছে সেখান থেকে নাকি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। এসব মিথ্যা মামলায় যাদের সাক্ষী করা হচ্ছে তারা জানেই না কোথায় মশাল মিছিল হয়েছে, কোন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত, মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক এরশাদ আলী ইশা, সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, শফিকুল হক মিলন প্রমুখ।#