তিনি জানান, আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ফেরি ও লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। মেঘনায় এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ফেরি বন্ধ থাকার কারনে ঘাটের দু-পাড়ে আটকা পড়েছে কয়েকশ পণ্যবাহী ট্রাক। দুই একদিনের মধ্যে সকল পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার হবে বলে আশা করেন তিনি। একই কথা জানিয়েছেন, ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটের ম্যানেজার মো. কাউছার।
বাসস জানায়, বুধবার বিকেল থেকে বৈরী আবহাওয়ার কারনে এ নৌরুটে ফেরি লঞ্চসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয় বিআইডাব্লিইটিএ। এতে করে মুজচৌধুরীরহাট ঘাটে কয়েকশ যাত্রী আটক পড়ে। ফলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয় এ নৌরুটে চলাচলকারী যাত্রীদের। তবে সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় দুর্ভোগ কমেছে।
মেঘনা নদী হয়ে লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল নৌরুট দিয়ে চট্টগ্রাম, ফেনী, সিলেটসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে সহজ যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ নৌ-রুট। ঈদ-পূজাসহ সরকারি ছুটিতে এ রুটে যাত্রীদের ভিড় থাকে। এ ছাড়া প্রতিদিন লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল নৌরুটে ফেরি ও লঞ্চে প্রায় কয়েকশ পণ্যবাহী গাড়ি ও হাজার হাজার মানুষ যাতায়ত করে। লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌ-রুটে ৫টি ফেরি ও বরিশাল রুটে ১১টি লঞ্চ চলাচল করছে। এরমধ্যে দুটি লঞ্চ বরিশাল রুটের। বাকি ৯টি ভোলা রুটের।#