আবুল কালাম আজাদ…………………………………………..
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের ২৬তম সম্মেলনকে ঘিরে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। দীর্ঘ ছয় বছর পর আগামী ১২ নবেম্বর অনুষ্ঠিতব্য এই সম্মেলন নিয়ে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে ছাত্রলীগে। মিছিল-মিটিং নিয়ে ক্যাম্পাসে ব্যস্ত সময় পার করছেন পদপ্রত্যাশীরা। বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্শবর্তী এলাকায় শোভা পাচ্ছে নানা ব্যানার ও পোস্টার। নতুন নেতৃত্ব নিয়ে নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলছে জল্পনা-কল্পনা। এতে ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
গত ২৫ অক্টোবর এক বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য আগামী ১২ নভেম্বর সম্মেলন আয়োজন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত জমা নেয়া হয়। রাবি ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক আবুল বাশার জানিয়েছেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৯৪টি জীবনবৃত্তান্ত জমা পড়েছে।
ইতোমধ্যে নতুন কমিটিতে সম্ভাব্য কয়েকজন নেতার নাম নিয়ে চলছে গুঞ্জন। নেতা হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি কাজী আমিনুল হক লিংকন, জাকিরুল ইসলাম জ্যাক ও মেজবাহুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীনুল ইসলাম সরকার ডন, সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েত হক রাজু, মেহেদী হাসান মিশু ও মুশফিক তাহমিদ তন্ময়, গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব, উপ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক তাওহিদ দুর্জয় প্রমূখ।
নবাব আব্দুল লতিফ হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাঈম হোসেন জিহাদ বলেন, দীর্ঘদিন বাদে আমার প্রাণের সংগঠণ রাবি ছাত্রলীগের সম্মেলনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে প্রাণচাঞ্চল্য এসেছে। সম্মেলনকে সফল করতে ও নতুন কমিটিকে স্বাগত জানাতে বর্তমান কমিটির আমাদের অভিভাবক কিবরিয়া ভাই ও রুনু ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা সকলভাবে প্রস্তুত আছি।
পদপ্রার্থী ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, পূর্বসূরিদের রক্ত, শ্রম ও ঘামের ওপর প্রতিষ্ঠিত রাবি ছাত্রলীগের এই সম্মেলন আমাদের দীর্ঘ আকাক্সিক্ষত। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা যারা রাজশাহীতে আসবেন, তাদের স্বাগত জানাবে আধুনিক রাজশাহীর রূপকার জননেতা লিটন ভাইয়ের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ। এই উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ অব্যহত রাখতে ও রাবি ক্যাম্পাসকে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি থেকে মুক্ত রাখতে যেন যোগ্য, সৎ ও ত্যাগী ছাত্রনেতাদের মূল্যায়ন করা হয় সেই প্রত্যাশাই থাকবে।
পদপ্রার্থী ছাত্রলীগ নেতা আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, সামনে যেহেতু দুটি বড় বড় নির্বাচন, আমরা চাইবো যে শিবিরকে যারা মোকাবেলা করার ক্ষমতা রাখে, ক্যাম্পাস সুশৃঙ্খল রাখা জন্য যারা যোগ্য, যারা সিট বাণিজ্য করবে না, চাঁদাবাজি করবে না, যারা মারামারি করবে না তারা যেন ক্যাম্পাসের নেতৃত্বে আসে।
সম্মেলনের সার্বিক বিষয়ে রাবি ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ২৬তম সম্মেলন উপলক্ষে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ এবং সেই সাথে ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। আশা করছি ২৬তম সম্মেলনের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্বের হাতে আমরা দায়িত্ব তুলে দিতে পারবো এবং সেই সাথে উৎসবমুখর পরিবেশে আমরা সম্মেলন শেষ করতে পারবো।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর রাবি ছাত্রলীগের ২৫তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১১ ডিসেম্বর গোলাম কিবরিয়াকে সভাপতি ও ফয়সাল আহমেদ রুনুকে সাধারণ সম্পাদক করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।#