1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ০৫:৩৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
গাঁজা পাচারকালে রাজশাহীর বেলপুকুর বাইপাস মোড়ে  ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব গোদাগাড়ীতে ওয়ার্ডভিত্তিক স্পোর্টিং ক্লাবে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করলেন ইউএনও রাজশাহীতে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন আত্রাইয়ে ছাত্রদল ও যুবদলের উদ্যোগে মশাল মিছিল  আত্রাইয়ে বিএনপির ওঠান বৈঠক  চাঁপাইনবাবগঞ্জে জিয়াউর রহমানের পরকিয়ায় লিপ্ত ও অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে মানববন্ধন খুলনায় র‍্যাব এর হাতে চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামী গ্রেফতার গোদাগাড়ীর কাঁকনহাটে ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনে ৫ প্রতিষ্ঠানসহ এক ব্যক্তিকে জরিমানা নওগাঁর পোরশাতে জাতীয় পার্টির সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত বাংলা টিভি ‘র শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি মোতাব্বির হোসেন কাজলের নি:শর্ত মুক্তি চাই 

দিনাজপুরে ওঁরাওদের ঐতিহ্যবাহী কারাম উৎসব পালন

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১৫৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# মোঃ নূর ইসলাম নয়ন, দিনাজপুর…………………………..

আদিবাসীদের সমৃদ্ধ লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতির অন্যতম অংশ কারাম পূজা বা উৎসব। লাল হলুদ শাড়ী আর খোপায় ফুল রঙ্গিন সাজে বাদ্যের তালে নেচে গেয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্টীর ওঁরাওদের সম্প্রদায় উদযাপন করে তাদের বড় পরব কারাম উৎসব। দিনাজপুরের সুইহারী খালপাড়ায় আদীবাসি পল্লীতে ৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা হতে সারারাত চলে এ উৎসব।

 

দিনাজপুরের সুইহারী খালপাড়ায় আদীবাসি পল্লীতে এই ঐতিহ্যবাহী কারাম উৎসব এর পূজা অর্চনা পাঠ করান ওঁরাও সম্প্রদায়ের ‘মাড়েয়া(পুরোহিত)’ সানে এক্কা। সকাল থেকে নেচে গিয়ে আসতে শুরু করে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্টীর নারী পুরুষ মাদল আর মন্দিরার শব্দের সাথে দলবদ্ধ পথনৃত্য। ক্ষুদ্র-নৃগোষ্টীর নিজস্ব ভাষায় গাওয়া গান আর ছন্দময় নাচে অংশ নেয় তরুন তরুনী আর আবাল বৃদ্ধরা।

 

সমতল ভুমির ক্ষুদ্র-নৃগোষ্টীর বিভিন্ন জাতিসত্বা নেচে গেয়ে নিজস্ব সংস্কৃতি তুলে ধরেন তাদের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতকে। বৈচত্রপুর্ন এ অনুষ্টান উপভোগ করতে ঢল নামে নানা পেশার মানুষদের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্টীর নিজস্ব সংস্কৃতি তুলে ধরায় এই আয়োজন। কারাম উৎসবটি ওঁরাওদের বছরের সবচেয়ে বড় পর্ব হিসাবে বিবেচিত। এই কারাম উৎসব ৩টি পর্বে অনুষ্ঠিত হয়।

 

একক কারাম যা একক প্রচেষ্টায় নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়, দোমাসি কারাম এটি ভাদ্র মাসের শেষে শুরু হয় এবং আশ্বিন মাসের শুরুতে শেষ হয়, ১০ কারাম এটি এলাকার সকলে মিলে পালন করে ভাদ্র মাসের চাঁদের ১০ম দিনে পালন করে। এ উৎসবটি সাধারণত যখন পৃথিবীতে মৌসুমি বায়ু চরমে থাকে এবং ধানের গাছগুলো মাঠে দাঁড়িয়ে থাকে ও ধানের গাছ কান পর্যন্ত বড় হয় নি এ সময় করা হয়ে থাকে।

 

এ উৎসবটি মূলত ধান কাটার আগে এবং অবসর সময়ে “প্রচুর ফসল উৎপাদনক্ষম উৎসব” ও শস্য মাঠে দাঁড়ানোর শক্তি যোগানোর জন্য করা হয়ে থাকে। এ ছাড়াও কারামে গ্রামবাসী গ্রামের যুবক-যুবতীদের সুসন্তান লাভের জন্যও প্রার্থনা করা হয়। কারাম উৎসবের প্রধান অনুষ্ঠানটি কারাম গাছের তিনটি ডাল কেটে গ্রাম্য আখড়ার মাঝখানে কারাম রাজা হিসাবে গ্রামের নারীদের দ্বারা পোতা হয়। ডালের চতুর্দিকে বসে কারামের কাহিনী শোনা হয়। এরপর গ্রামের ছেলে-মেয়েরা কারাম রাজার চর্তুদিকে সারা রাত ধরে নাচে। পরের দিন সকালে যুবতী মেয়েরা বিশেষভাবে গোজানো জাওয়া পুঁপ তাদের ভাই ও আত্মীয়-সজনদের মাঝে বিতরণ করে।

 

সকালের সুর্যের তাপ বাড়ার সাথে সাথে পাহান কারাম ডালগুলো তুলে কাছাকাছি পুকুর বা নদীতে সম্মানের সাথে ভাসিয়ে দেয় এবং পারিবারিক ভোজে অংশগ্রহণ করে। ঐতিহাসিকগণের বর্ননায় জানা যায় যে, বহুদিন পূর্বে পাটনার রোহিতাসগড় হতে আর্যদের দ্বারা যুদ্ধে পরাজিত হয়ে ওঁরাওরা প্রাণ রক্ষার্থে তাদের আশ্রয়স্থান ত্যাগ করে পালাতে থাকে এবং আর্যরা তাদের পিছু ধাওয়া করতে থাকে। অনেকদূর আসার পর ক্লান্ত ওঁরাওরা একটি কারাম গাছের নীচে আশ্রয় গ্রহণ করলে আশ্চর্যজনকভাবে আর্যরা ফিরে যায় এবং ওঁরাওরা বিপদমূক্ত হয়।

 

ওঁরাওদের বিশ্বাস এ কারাম বৃক্ষ ওঁরাওদের রক্ষা করেছে। এ বিশ্বাস থেকেই সেদিন ওঁরাওরা কারাম বৃক্ষের উপাসনা শুরু করে এবং ওঁরাওরা এ স্মৃতি স্মরন করে মর্যাদাসহকারে এ উৎসবটি পালন করে।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট