# তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি……………………………………………………
রাজশাহীর তানোরে এক আদম ব্যাপারীর খপ্পরে পড়ে একাধিক পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। বিদেশে মোটা অঙ্কের টাকা বেতনের লোভ দেখিয়ে গ্রামের সহজসরল যুবকদের বিদেশ পাঠিয়ে, তাদের পরিবারকে জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) মোহাম্মদ আলীপুর গ্রামের তোফাত আলী ও তার পুত্র বাবুল হোসেন। তারা বাপবেটা একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে বিদেশে লোক পাঠিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তারা গ্রামের সহজসরল যুবকদের মোটা অঙ্কের টাকা বেতনের লোভ দেখিয়ে বিদেশ পাঠায়। এর পর বিদেশের মাটিতে তাদের জিম্মি করে দেশে পরিবারের কাছে থেকে লাখ লাখ টাকা আদায় করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ইতিমধ্যে তারা এলাকার প্রায় কুড়ি জনকে বিদেশ পাঠিয়েছে। যারা কোনো কাজ না পেয়ে বিদেশের মাটিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এদেরই একজন ছাঐড় গ্রামের এমদাদুল হকের পুত্র সবুজ আলী। আদম ব্যাপারী মোহাম্মদআলীপুর গ্রামের তোফাত ও বাবুল তারা বাপবেটা সবুজকে প্রায় ৬ মাস আগে মালেশিয়া পাঠায়। এর পর সবুজকে সেখানে জিম্মি করে পরিবারের কাছে থেকে প্রায় দশ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এদিকে তাদের জিম্মি দশায় ঠিকমতো খাবার না পেয়ে সবুজ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। এখবর জানতে পেরে সবুজের পরিবার আবারো দালাল চক্রকে ৫ লাখ টাকা দিয়ে তাকে দেশে ফেরত নিয়ে এসেছে। ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সবুজের বাংলাদেশে আশার ফ্লাইট।
এদিকে সবুজকে বিদেশ পাঠানোর জন্য তার পরিবার বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে থেকে লাখ লাখ টাকা ধারদেনা, ফসলী জমি ও গরু বিক্রি করে দালাল তোফাত ও বাবুলের হাতে তুলে দিয়েছেন। আর তাদের হাতে টাকা তুলে দিয়ে সর্বস্ব খুইয়ে প্রতারণার শিকার সবুজের পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে তোফাত আলী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার পুত্র বাবুল হোসেনের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নাই। বাবুল কিভাবে লোকজন বিদেশ পাঠায় সেটা তার জানা নাই। তবে বাবুল হোসেন বিদেশ থাকায় তার কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এবিষয়ে সবুজ আলীর পিতা এমদাদুল হক বলেন, দালাল তোফাত ও বাবুল তারা বাপবেটা এক সঙ্গে তার কাছে থেকে কয়েক দফায় প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি বলেন, তাদের নির্যাতনের শিকার হয়ে তার পুত্র সবুজ এখন মানুষিক ভারসাম্য হারিয়েছে। তিনি টাকা ফেরতসহ তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, এবিষয়ে তারা কোনো অভিযোগ পাননি।তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।#