1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
সিংড়ায় পুলিশের ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত নওগাঁর আত্রাইয়ের পুষ্টিগুন মাছের শুকটি রপ্তানি হচ্ছে দেশ-বিদেশে নাচোল বরেন্দ্র অঞ্চলে  দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর গাছ ও রস   বাড়তি দামের কারণে ব্যয় বাড়ছে নিত্যপণ্যর ডুমুরিয়ায় হুফ্ফজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত তানোরে আলুর বীজ নিয়ে মহা সিন্ডিকেট দিশেহারা চাষীরা! খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়  বাগমারার হাটগাঙ্গোপাড়া মডেল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন বাংলাদেশ জার্নালিস্ট প্রটেক্ট কমিটির সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য অ্যাডভোকেসি কর্মশালা  সিংড়ায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত

জাতীয় চার নেতা জীবন দিয়ে গেছেন, আপোস করেননি: রাসিক মেয়র লিটন

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২২
  • ৯৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক……………………………………………………..

জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সুযোগ্যপুত্র, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, জাতীয় চার নেতা তাদের নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি ভক্তি, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা-আদর্শে অবিচল-অটুট ছিলেন, জীবন দিয়ে গেছেন, কিন্তু আপোস করেননি।

 

জেল হত্যা দিবস-২০২২ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় (রাবি) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

 

প্রধান অতিথি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন,সবচেয়ে বেশি রক্ত বিসর্জন দিয়ে স্বাধীন হওয়া বিশ্বের একমাত্র দেশ বাংলাদেশে। পাক হানাদারদের সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে প্রায় ত্রিশ লক্ষ মানুষ শাহাদাত বরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অথচ স্বাধীনতার চার বছরের মধ্যেই দেশদ্রোহীরা চক্রান্তের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। সেদিন তারা নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নাম। কতো বড় বিশ্বাসঘাতক হলে এই কাজটা তারা করতে পারে, যখন বঙ্গবন্ধু তাদের মুক্ত আকাশের নিচে স্বাধীনভাবে বিচরণের পথ করে দিয়েছিলেন। তাই এসব ঘাতকদের দেশে ফিরে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবি আজ জোরদার হচ্ছে। আমরাও এই দাবি জানাই।

 

জেলহত্যার প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, দেশদ্রোহীরা বুঝতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পর এই চার নেতা দেশের হাল ধরবেন। তাই পরিকল্পিতভাবে চক্রান্তের নীল নকশা তৈরি করে জেলখানায় তাদেরকেও নৃশংসভাবে হত্যা করে দেশবিরোধী অপশক্তিরা। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা সেদিন ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছিলেন, তাই দেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসা ও বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার দীপ্ত প্রতিজ্ঞার ফলেই আবার দেশ মাথা তুলে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখতে পেরেছে। এমনকি শেখ হাসিনার হাত ধরেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ে উঠছে।

 

রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে রাবির উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. অবায়দুর রহমান প্রামাণিক এবং আলোচক হিসেবে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রফেসর দুলাল চন্দ্র বিশ^াস বক্তব্য দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর মো. আবদুস সালাম আলোচনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।।

 

আলোচক প্রফেসর দুলাল চন্দ্র বিশ^াস তাঁর বক্তব্যে বলেন, জেল হত্যাকাণ্ডে শহীদ জাতীয় চার নেতা ছিলেন সফল রাজনীতিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম কান্ডারী। শিক্ষাজীবনেও তাঁরা ছিলেন কৃতী। তাঁরা দেশকে ভালোবেসে, জাতির কল্যাণে রাজনীতির মাধ্যমে জনসেবায় নিজেদের নিবেদিত করেছিলেন। সেটাই কাল হয়েছিল। দেশপ্রেমের কারণেই তাদের জীবন দিতে হয়। তাঁদের আদর্শ হয়ে আছে অবিনশ্বর। সেই আদর্শ চর্চার মাধ্যমেই শহীদদের প্রতি যথাযোগ্য সম্মান দেখানো হবে।

 

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির অন্যতম সহযোগী ছিলেন শহীদ জাতীয় চার নেতা। তাঁরা ছিলেন রাজনীতিতে মেধা ও আস্থার প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে তাঁরা ছিলেন নিরলস। কোনো প্রলোভনেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির কল্যাণের আদর্শচ্যূত করা যাবে না জেনেই তাঁদের হত্যার মাধ্যমে জাতিকে নেতৃত্বশুন্য করার হীন প্রয়াস চালানো হয়। কিন্তু বাঙালি জাতির প্রতি তাঁদের অবিনাশী চেতনা আজও অবিনশ্বর হয়ে আছে বলেই আজ আমরা শ্রদ্ধার সাথে এই শহীদদের স্মরণ করছি।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য প্রফেসর মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, শহীদ জাতীয় চার নেতার আদর্শই ছিল দেশপ্রেম ও স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। সে লক্ষ্যেই তাঁরা আজীবন কাজ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন নেতৃত্বে, তাঁরা ছিলেন সেই নেতৃত্বের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে। স্বাধীন বাংলাদেশেও আমরা দেখতে পাই তাঁদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ নেতৃত্বের ভূমিকায়। তাঁদের আদর্শই কাল হয়েছিল। আদর্শের কারণেই তাঁদের জীবন দিতে হয়েছে। জীবন দিয়ে তাঁরা বাঙালি জাতিকে ঋণী করে গেছেন।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট