# শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের সাহেবখালী সিদ্দিক গাজী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আরিফ বিল্লাহ চাকরির নামে এক লক্ষ দশ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী সাহেবখালী সিদ্দিক গাজী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ খালিদ হোসেন।
এলাকাবসীর সূত্রে জানা যায়,খুলনার কয়রা উপজেলার নাকসা গ্রামের জাফর আলীর ছেলে মোঃ খালিদ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে সাহেবখালী সিদ্দিক গাজী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে আসতে ছিলেন কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নানারকম অপকর্ম জেনে যাওয়ায় প্রধান শিক্ষক মোঃ আরিফ বিল্লাহর ষড়যন্ত্র স্বীকার হয় সহকারী শিক্ষক মোঃ খালিদ হোসেন।
এছাড়া অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আরিফ বিল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের যৌন হয়রানি ছাড়া নানা রকম অভিযোগ এছাড়া মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী সহ বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর কয়েকজন আলেম ও নেতাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে বাজে মন্তব্য ও জমি দখল, চাঁদাবাজির অভিযোগ ছাড়াও নারী কেলেঙ্কারি সহ নানা ধরনের কার্যক্রমে জড়িত বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
অভিযোগকারী আদালতে মামলাকারী সহকারী শিক্ষক মোঃ খালিদ হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষক আরিফ বিল্লাহ আমাকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে চাকুরী হতে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন,আমি তার অপরাজনীতির স্বীকার।আমি আমার পাওনাকৃত টাকা ফেরত চাইতে আমাকে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগের কলাকৌশলে জীবননাশের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল একপর্যায়ে রাতের আধারে আমার ওপর হামলা করে সেখান থেকে আহত অবস্থায় স্থানীয়দের সহায়তায় আমি জীবন নিয়ে পালিয়ে আসি এবং আদালতে মামলা করি।
এবিষয়ে সাহেবখালী সিদ্দিক গাজী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে বসাবসকারী মজিবার গাজী,পশু চিকিৎসক ফজেরালী, হাজী তালেব গাজী, গ্রাম্য ডাঃ সাইফুল ইসলাম ছাড়া ও অনেকেই প্রতিবেদককে জানান সহকারী শিক্ষক মোঃ খালিদ হোসেন প্রধান শিক্ষক মোঃ আরিফ বিল্লাহর কাছে একলক্ষ দশহাজার টাকা পাওনা ছিল ঘটনাটি সত্য কিন্তু এই প্রধান শিক্ষক মোঃ আরিফ বিল্লাহ একজন লোভী,কুচরিত্রের মানুষ হওয়ায় নানা রকম তালবাহানা করেন।
এ বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষক মোঃ আরিফ বিল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে,তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।গ্রামবাসী সহ সচেতন মহলের দাবী এই প্রধান শিক্ষক আরিফ বিল্লাহকে আদালতের মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তি আওতায় আনা হোক।#