# মহানগর প্রতিবেদক…………………………….
শীতের ছোবলে আক্রান্ত দেশ, বিরাজ করছে ভয়াবহ পরিবেশ। পাড়া মহল্লায় এবার নেই পিঠে ধুম, শীতবস্ত্রের অভাবে গরীবের চোখে নেই ঘুম। শীতবস্ত্রের অভাবে কাঁদছে ছিন্নমূল ও পাড়া মহল্লার নিম্ন আয়ের মানুষ। এমনাবস্থায় বসে নেই গণদরদী সরকার ও বিত্তবানেরা। যথাসাধ্য শীতবস্ত্র দিয়ে পাশে দাড়িয়েছে।
অধিকাংশ গরীব শ্রেণীর মানুষের অভিযোগ তারা যেই পরিমাণ শীতবস্ত্র পাচ্ছেন তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই কম। সরকার ও বিত্তবানদের পাশাপাশি শীতবস্ত্রের গাট্টি নিয়ে গরীবদের পাশে দাড়িয়েছেন বিশ্ব ও দেশের শ্রেষ্ঠ আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক। ব্যাংকটি নিয়েছেন এক ব্যাতিক্রমধর্মী উদ্যোগ।যা হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন সর্বমহলে। এ যেন মরূভূমির বুকে একফোঁটা প্রশান্তির জল। তারা দেশব্যাপী শুরু করেছেন কম্বল বিতরণ। যা সব শীতকাতর মানুষের জন্য নয়। তারা কম্বল বিতরণ করছেন শুধুমাত্র সংগ্রামী সদস্য (ভিক্ষুক )সদস্যদের মাঝ। এরই ধারাবাহিকতায় গ্রামীণ ব্যাংক রাজশাহী যোনেও চলছে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণী সেবা।
গ্রামীণ ব্যাংক রাজশাহী যোনের কর্মলয়ে রৌশনময় যোনাল ম্যানেজার মোঃ আমিনুল ইসলামের দিক নির্দেশনায় রাজশাহী যোনের শাখায় শাখায় কম্বল বিতরণের খবর পাওয়া গেছে। পাওয়া গেছে রাজশাহী যোনের রাজশাহী এরিয়ার কম্বল বিতরণের খবর। যানা যায় আট জানুয়ারী দুইহাজার তেইশ রাজশাহী এরিয়ার শাখায় শাখায় কম্বল বিতরণ করা হয়। রাজশাহী এরিয়ার বারটি শাখার দুইটি শাখায় সংগ্রামী (ভিক্ষুক ) সদস্যদের মাঝে কম্বল বিতরণের হৃদয় ছোঁয়া দৃশ্য লক্ষ্য করা গেছে।
আট জুন গ্রামীণ ব্যাংক রাজশাহী এরিয়ার বসুয়া পবা শাখা ও হড়গ্রাম পবা শাখায় সরেজমিনে দ্যাখা যায় রাজশাহী এরিয়ার এরিয়া ম্যানেজার মোঃ আলমগীর হোসেন এর আলোকিত নেতৃত্বের অনুপম ছোঁয়া। এরিয়া ম্যানেজার মোঃ আলমগীর হোসেন এর উপস্থিতিতে গ্রামীণ ব্যাংক বসুয়া পবা শাখায় কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে আরো উপস্হিত ছিলেন অত্র শাখার শাখা ব্যবস্হাপক ও কর্ম সৈনিক মোঃ কামরুজ্জামান। বসুয়া পবা এলাকার আলীগঞ্জের ( ভিক্ষুক) সংগ্রামী সদস্য কুলসুম, বহরমপুরের হোসনেয়ারা সহ বেশ কয়েকজনের হাতে কম্বল তুলে দেয়ার দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়।
একই দিনে গ্রামীণ ব্যাংক হড়গ্রাম পবা শাখাতেও (ভিক্ষুকদের) সংগ্রামী সদস্যদের মাঝে কম্বল বিতরণ করতে দ্যাখা যায়। এখানেও এরিয়া ম্যানেজার মোঃ আলমগীর হোসেন এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। হড়গ্রাম পবা শাখায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন অত্র শাখার শাখা ব্যবস্হাপক ও কর্মী বান্ধব নেতৃত্ব মোঃ ইয়াকুব আলী। হড়গ্রাম পবা এলাকার বসড়ীর রোকেয়া এবং রানীদীঘি এলাকার শাহেরবানু সহ বেশ কয়েকজনের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল )বিতরণ লক্ষ্য করা যায়। কম্বল পাওয়া ভিক্ষুকরা (সংগ্রামী সদস্যরা ) প্রতিবেদক কবি মুকুল হোসেনকে বলেন আজকের এই কম্বল পাওয়াটা মনে হচ্ছে যেন আমাদের পাওয়া উপহারের একটা শ্রেষ্ঠ উপহার। তারা কম্বল পেয়ে খুশি মনে হাসতে হাসতে আরো বলেন এগিয়ে যাক গরীবের প্রিয় ব্যাংক গ্রামীণ ব্যাংক।
কম্বল বিতরণ সম্পর্কে জানতে চাইলে রাজশাহী এরিয়ার এরিয়া ম্যানেজার মোঃ আলমগীর হোসেন প্রতিবেদককে বলেন আমরা গ্রামীণ ব্যাংক প্রদত্ত সকল সুবিধা নিয়ে গরীবদের সাথে আছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ।#