# গোলাম রব্বানী, স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ…………………………………………………………
গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেলের প্রধান প্রবেশ পথে যে যার ইচ্ছামতো দখল করে গড়েছে দোকানপাট। বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিকের সাইনবোর্ডের ভিড়ে ঢাকা পড়ে গেছে মেডিকেলের নাম নিশানা । দূর দুরন্ত থেকে আসা রোগীদের সৃষ্টি হচ্ছে ভোগান্তির।রাস্তার পাশের পানি অপসারণের জন্য নির্মিত ড্রেন বন্ধ করে তার উপর নির্মাণ করেছে দোকানপাট। বর্ষার একটু পানি পড়লেই ডুবে যায় মেডিকেলে প্রবেশ পথের রাস্তা ও প্লাবিত হচ্ছে পাশে নীচু আবাসিক এলাকা।
গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের প্রবেশ পথে “রাসেল স্টোর” নামক একটি দোকান, ষ্টোরটি সম্পূর্ন সরকারি খাস জায়গা দখল করে নির্মিত হয়েছে। দোকানটি ছোট হলেও রাস্তার মাথা পর্যন্ত জোর দখল করে বিভিন্ন বিক্রয় সামগ্রী রেখে দিয়েছে, যা হাসপাতালে রোগীদের আসা অ্যাম্বুলেন্স ও বিভিন্ন প্রকার গাড়ি প্রবেশ করতে বাধাঁগ্রস্ত হচ্ছে। মধ্য রাত পর্যন্ত দোকানটি খোলা থাকায় এলাকার নেশাগ্রস্তদের আড্ডারস্থল হয়েছে এখানে। এদের কারণে হাসপাতালে আসা রোগীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে প্রতারিত হচ্ছে।
গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার নবীনবাগ এলাকায় শেখ সায়েরা খাতুন মেজিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মিত হয় ২০১১ সালে। এটা গোপালগঞ্জ জেলাবাসীর জন্য সর্ববৃহত উন্নয়ন। যা সম্ভব হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। সরকারের এই উন্নয়নের প্রকৃত রূপ ফিরে পেতে বাধাঁগ্রস্ত হচ্ছে কতিপয় কিছু অসাধু ও ভুমিদস্যূ প্রকৃতির লোকজনের দ্বারা।
এই মেডিকেলের প্রবেশ পথ রয়েছে দুইটি একটি বিশ্বরোড দিয়ে আর একটি গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ভিতর দিয়ে। মেডিকেল কলেজের প্রবেশ পথে গড়ে উঠেছে সরকারি জায়গায় অবৈধ দোকান যা হ্সপাতালের আসা রোগিদের জরুরি সময়ে হাসপাতালে প্রবেশ পথে বাঁধার সৃষ্টি হচ্ছে। দুর দুরন্ত থেকে আসা রোগীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে প্রতারিত হচ্ছে এই দোকানদারদের কাছে। হাসপাতাল গেটে হাসপাতাল মুখে যে যার ইচ্ছা মত জোর দখল করে সরকারি জায়গায় নির্মাণ করছে স্থাপনা। এই সকল দোকান পাটের কারণে হাসপাতালের প্রকৃত সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। অতি দ্রুত এই সকল অবৈধ স্থাপনা অপসারণ না করলে ভবিষ্যতে এর ফলাফল ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে বলে এলাকাবাসী ধারণা করছে।
এ ব্যপারে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানকারী ও মেডিকেল কলেজে আসা রোগিদের ভোগান্তি দুর করার মূল নায়ক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. নেওয়াজ মোহাম্মাদ এ সংবাদদাতাকে বলেন, মেডিকেলের প্রধান প্রবেশ পথে যায়গটা আমাদের আওতাভুক্ত এ ব্যপারে আগেও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। আবারো সেখানে দোকানপাট করেছে। ব্যপারটি আমি অতি দ্রুত জেলা প্রশাসক বরাবর অভিহিত করবো এবং সমস্যার সমাধান হবে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি শাম্মী কায়সার কে এ ব্যাপারে অভিহিত করলে তিনি বলেন, ব্যপারটি আমি দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।#