# আলিফ হোসেন,তানোর……………………………………………………….
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৫ বছরে সামাজিক নিরাপত্তা সহায়তা ভাতা ও গৃহনির্মাণ প্রকল্পে ২১ হাজার ১২৯ জন উপকারভোগীদের জন্য প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে উপকার ভোগীদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, সামাজিক নিরাপত্তা সহায়তা ভাতা ও গৃহনির্মাণ প্রকল্পে সর্বমোট ৬.৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। গোদাগাড়ী উপজেলায় মাতৃত্বকালীন, ল্যাকটেটিং, মা ও শিশু, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত, দলিত,হরিজন, কামার, কুমার, বেদে, ও ভিক্ষুক ভাতা ২১ হাজার ১২৯ জন উপকারভোগীদের জন্য মোট ৮৮৪ কোটি ৪৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। অন্যদিকে বয়স্ক, বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা ও প্রতিবন্ধী ভাতা প্রকল্পে ২ লাখ ৩ হাজার ৪৯৬ জন উপকারভোগীদের জন্য ৭৫২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা প্রকল্পে ৪৯৬ জন উপকারভোগীর বিপরীতে ৫৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
ওদিকে উপজেলায় গৃহহীনদের বাড়ি নির্মাণ প্রকল্পে ৪৪টি বাড়ি (২) রুম বিশিষ্ট ৪৪ জন উপকারভোগীর বিপরীতে ৯৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।এছাড়াও মুজিববর্ষে ভুমিহীনদের জমিসহ বাড়ি নির্মাণ প্রকল্পে ১৩ হাজার ১৬টি বাড়ি (২) রুম বিশিষ্ট এসব উপকার ভোগীর বিপরীতে ২৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা নিবাস ৫৫টি (ফ্ল্যাট বাড়ি) উপকার ভোগীর বিপরীতে ৯ কোটি ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
জানা গেছে, সরকার প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর মাধ্যমে গোদাগাড়ীর মানুষকে প্রত্যাশা অনুযায়ী শতভাগ ভাতা উপহার এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে পর্যাপ্ত ভাতা প্রদান চলমান রয়েছে এবং থাকবে। বিগত ২০০৫ সালে প্রতিবন্ধী ও ২০০৭ সালে মাতৃত্বকালীন ভাতা ব্যতিত সকল ভাতা আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে চালু হয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এসব ভাতার অর্থ প্রদান করা হয়। ভবিষ্যতে ভাতা শুবিধার জন্য আবেদনকারী নিজেই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আগামিতে দুঃস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ গৃহহীন প্রতিটি নাগরিকের ঠিকানা নিশ্চিত করতে প্রকল্পগুলো চরমান রয়েছে এবং থাকবে।
সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে গোদাগাড়ী উপজেলায় সর্বোচ্চ এক হাজার ৩৬০টি পাকা বাড়ি(টয়লেট রান্নাঘরসহ) ইতিমধ্যে নির্মিত হয়েছে। অথচ বিএনপি ও চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে এধরণের প্রকল্পের কোনো অস্তিত্ব ছিলো না। এখন প্রশ্ন হলো যে জাতি উপকারীর উপকার শিকার করে না, তারা অকৃতজ্ঞ। আর অকৃতজ্ঞদের ধ্বংস অনিবার্য। সচেতন মহলের অভিমত, আওয়ামী লীগ সরকারের উপকার শিকার ও কৃতজ্ঞতা স্বরুপ আওয়ামী লীগের পক্ষে থাকা।#