মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট অভিযানে অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণের দায়ে হোটেল ও ফার্মেসিকে ১২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। একইদিন রাতে উপজেলার বাবুপুর গ্রামে মাদকবিরোধী অভিযানে এক কেজি গাঁজাসহ একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মোবাইল কোর্ট অভিযান রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫ তারিখ বিকেলে গোদাগাড়ী উপজেলার বাসুদেবপুর ইউনিয়নের স্লুইজগেট বাজারে এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৩৮, ৪৩, ৪৫ ও ৫১ ধারায় তিনটি প্রতিষ্ঠানকে দোষী সাব্যস্ত করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
অভিযানে দেখা যায়, স্থানীয় এক হোটেলে অস্বাস্থ্যকর ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার প্রস্তুত ও বিক্রি করা হচ্ছিল। এছাড়া দুটি ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির উদ্দেশ্যে সংরক্ষণের প্রমাণ পাওয়া যায়। অভিযানে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি হচ্ছেন: ১. সঞ্জয় কুমার শাহ (৩৭), বাসুদেবপুর, গোদাগাড়ী – ২,০০০ টাকা জরিমানা ২. তৌহিদ ফার্মেসী, মালিক: আবুল হোসেন (৪৫), পিতা: মৃত বেলাল উদ্দীন – ৫,০০০ টাকা জরিমানা ৩. তৃপ্তি ফার্মেসী, মালিক: রামচন্দ্র শাহ (৬৮), পিতা: মৃত নগেন্দ্রনাথ শাহ – ৫,০০০ টাকা জরিমানা। গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ বলেন, “জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমরা কোনো আপোষ করবো না। বাজারে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ কিংবা অস্বাস্থ্যকর খাবার পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মোবাইল কোর্টের অভিযান নিয়মিত চলবে।”
এ বিষয়ে বাসুদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন “উপজেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় আরও তদারকি বাড়াতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনের পাশে আছে।” একই রাতে মাদকবিরোধী অভিযান: এক কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার ওইদিন রাত ৮টা ৩০ মিনিটে পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মোঃ শহিদুল ইসলাম (আইসি, কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র) এর নেতৃত্বে এসআই আশরাফ আলী ও সঙ্গীয় ফোর্স বাবুপুর গ্রামে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে পারকেজিপুর, থানা-চাঁপাইনবাবগঞ্জের মোঃ মুকুল (৫৫), পিতা-মৃত আলকাছ এর শ্বশুরবাড়ি থেকে এক কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। ধৃত আসামির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিক ও সুশীল সমাজ এই ধরনের ধারাবাহিক অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “গোদাগাড়ীতে প্রশাসনের সক্রিয় তৎপরতা স্থানীয়দের মাঝে নিরাপত্তা ও আস্থার বার্তা দিয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে অপরাধের হার কমবে এবং সামাজিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে।#