# সুম / মোঃ শাহাদৎ হোসেন খোকন, গাইবান্ধা থেকে……………………………………
গাইবান্ধার নলডাঙ্গায় নারী নির্যাতন ও আত্মহত্যার প্ররোচনা করার অপরাধে আরপি মোঃ মোজাম্মেল হক ই.এস.ই ১২৭ ফিল্ড ওয়ার্ক ময়নামতি সেনানিবাস কুমিল্লাকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত সহ সকল আসামীকে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মামলা সুত্রে ও অভিযোগে জানাগেছে, বাদী মোছাঃ ফুল মতি বেগম, স্বামীঃ মোঃ আনোয়া হোসেন, গ্রামঃ পশ্চিম খামার দশলিয়া, ডাকঘরঃ নলডাঙ্গা, উপজেলাঃ সাদুল্লাপুর, জেলাঃ গাইবান্ধা এর কন্যা আল্পনা আক্তার রাণীর সঙ্গে বিবাদীঃ মোঃ মোজাম্মেল হক, পিতাঃ মোঃ মোশারফ হোসেন, গ্রামঃ চান্দের বাজার কুটিপাড়া, উপজেলাঃ সাদুল্লাপুর, জেলাঃ গাইবান্ধার সহিত মুসলিম শরীয়ত অনুযায়ী পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের পর ১০ লক্ষ টাকা সহ একটি বাইক যৌতুক দাবী করে। যেহেতু বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকুরী নিতে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে বলে জানান মোজাম্মেল।
উভয় পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের কারণে তিব্র মনোমানিল্য ও তিক্ততা সৃষ্টি হয়। এরে ধারাবাহিকতায় এক পর্যায়ে আসামীগণ পরস্পর যোগসাজসে সুপরিকল্পিত ভাবে ফুল মতি বেগম এর নামে কুৎসা রটিয়ে বাড়ী থেকে বের করে দেওয়া উদ্দেশ্যে ২নং আসামী মোঃ মনির হাওলাদার বিভিন্ন অসৎ উদ্দেশ্যে উত্যক্ত করতে থাকে। তাতে তাদের উদ্দেশ্য সিদ্ধি না হওয়ায় গর্ভবতি অবস্থায় সংসারের সবকাজ করার পর ও তারা ক্ষান্ত হয়নি। রাণীর একটি ৬ মাসের শিশু সন্তান রয়েছে। আর পরকীয় প্রেমের কারণে স্ত্রীর উপর অমানুসিক নির্যাতন করতো আরপি মোঃ মোজাম্মেল হক।
উপরন্ত শারিরিক ও মাসসিক জ¦ালাযন্ত্রনা করে থাকে ৩নং আসামী প্রায় প্রকাশ করে যে, অন্য জায়গায় বিবাহ হইলে চাকরীর টাকা ও বাইক পাওয়া যেত। বাবা মা মেয়ের সুখের জন্য ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে চাকুরী নিয়ে দেয়। তারপরের মেয়েকে তারা নানান ধরনের নির্যাতন অবহত রাখে মেয়ে সব মুখ বুঝে সহ্য করেন। তার ৬ মাস পূর্বে একটি কন্যা সন্তান মুসকান সিজারের মাধ্যমে জন্ম গ্রহণ করেন। এবং অধিকাংশ খরচ পিতাকে দিতে হয়েছে। উল্লখ্যে, বর্তমানে মোঃ মোজাম্মেল হক ই.এস.ই ১২৭ ফিল্ড ওয়ার্ক ময়নামতি সেনানিবাস কুমিল্লায় র্কমরত রয়ছেনে।
অন্যান্য আসামীরা হলো, মোঃ মনির হাওলাদার (৬৫), পিতাঃ মৃত খছির উদ্দির, দক্ষিন সাহাবাজ মতিন বাজার, সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা। ৩। মোছাঃ মর্জিনা বেগম (৪৫), জং মোঃ মোশারফ হোসেন, ৪। মোঃ মোশারফ হোসেন (৪৮), পিতাঃ মৃত হোসেন আলী, ৫। মোঃ মশিউর রহমান, (২১), পিতাঃ মোঃ মোশারফ হোসেন সর্বসাং গ্রামঃ চান্দের বাজার কুটিপাড়া, উপজেলাঃ সাদুল্লাপুর, জেলাঃ গাইবান্ধা। রহস্যজনক কারণে পুলিশ আজও তাদের গ্রেফতার করেনি।
জানা গছে,ে কুমিল্লায় একটি মেয়ের সঙ্গে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে মোজাম্মেল হক। বিষয়টি জানাজানি হলে ৩নং আসামী মোছাঃ মর্জিনা বেগম প্রকাশ করে যে, তোমরা তো আমাদের কোন দাবী পূরন করোনি । এরই মধ্যে মেয়ের পিতার নিকট ১ লক্ষ টাকা নেয় মোঃ মোজাম্মেল হক ঋণ নিয়েছিল যা আজও সেই টাকা ফেরত দেননি বা ঋণ পরিশোধ করেনি। ।
অপর পক্ষে গত ১৯/০৪/২০২৩ ইং তারিখ সকাল ৯টায় সময় ১নং আসামী মোঃ মোজাম্মেল হক মোবাইল ম্যাসেজের মাধ্যমে বলেন যে, তুমি অন্য জায়গায় বিবাহ করো আমাকে দিয়ে তোমার কোন সুখ হবে না। এই ম্যাসেজ পাওয়া মাত্রই স্বামীর উপর অভিমান কনে আত্মহত্যা প্রচনাকারী ও বাধ্যকারী ঘাতক স্বামী মোঃ মোজাম্মেল হকের সঙ্গে কথাকাটির এক পর্যায়ে আল্পনা আক্তার রানী আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেন তার স্বামী ও আসামীগণ।
প্রকাশ থাকে যে, বিবাহের নিকাহ নামা করার জন্য ঢাকা সাভারে প্রথমে ৪ লক্ষ টাকা এবং পরবর্তীতে দ্বিত্বীয় নিকাহ নামায় ২ লক্ষ টাকা মোঠ ছয় লক্ষ টাকা দেনমোহর করা হয়। আমি কন্যা হত্যার বিচার চাই। বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে দেখা দরকার।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শুধু শুধু তদন্ত চলছে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আসামী গ্রেফতারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, সেনাবাহিনী প্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী । তবে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী ময়নামতি সেনা নিবাস কুমিল্লা সিও, জিওসি কর্তৃপক্ষ শুধু তদন্ত করছে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক এর বরিুদ্ধে আজও কোন ব্যাবস্থা নয়ো হয়নি। কিন্তু কেন কোনরূপ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না তা ভূক্তভোগীরা জানে না। তাহলে কি