জি এম রিয়াজুল আকবর, কয়রা, খুলনা প্রতিনিধি……………………….
বাবুই পাখিকে ডাকিয়া বলিছে চড়াই কুড়ে ঘরে থেকে করে শিল্পীর বড়াই এই সাচ্ছন্দ্যময়ী কবিতা কার না মনে আছে, কিন্তু কালের বিবর্তনে বিলীন হতে বসেছে উপকূলীয় কয়রা উপজেলায় খড় দিয়ে বানানো তাল গাছ হতে বাবুই পাখির বাসা। যেখানে সর্বদা একসময় বাবুই পাখির কলতানে মুখরিত উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম গুলো তালগাছ নিধনের ফলে বাসা হারিয়ে ফেলেছে বাবুই পাখি। একটা সময় গ্রাম-বাংলার মাঠের ধারে, পুকুর পাড়ে কিংবা মাঠের পাড়ে দেখা মিলতো সারি সারি তালগাছের। সেখানে সাদা চঞ্চল নিষ্ঠাবান বুনন শিল্পী পাখির বাসাও কারো নজর এড়াতো না। সেই তালগাছ আর বাবুই পাখির বাসা দুটোই আজ হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম-বাংলা থেকে।
তেমনি হারিয়ে যেতে বসেছে প্রাকৃতিক শিল্পীর পাখি ভোরবেলা কিচিরমিচির মধুর সুরে ডাকাডাকি আর উড়াউড়ি। মূলত তালগাছেই বাসা বাঁধতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে বাবুই পাখি। নিপুণ কারিগর বলা হয় বাবুই পাখিকে। বাবুই পাখিরা সার্বিকভাবে ছোট হলেও তাদের জ্ঞান ভাণ্ডার রয়েছে প্রচুর। একসময় গ্রামাঞ্চলে অবাধ বিচরণ ছিল তাদের। সুরলা শব্দের মন মাতানো কিচিরমিচির শব্দ আগের মত এখন তেমন শোনা যায় না।
বুদ্ধিমান বাবুই পাখি ও তাদের দৃষ্টিনন্দন বাসা বয়স্ক ব্যাক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাবুই পাখিটি খুবই বুদ্ধিমান ও দেখতে ছোট হলেও বুদ্ধিতে সব পাখি হার মানায়। ঘাস ও লতা পাতা দিয়ে তালগাছের মাথায় সুন্দর করে বাসা তৈরি করতে পারে বলে এদেরকে তাঁতি পাখি বলা হয়। নিপুণ কারিগর এই পাখি স্ত্রী পুরুষ মিলে তাদের স্বপ্নের সংসার পাতে এবং তাতে ডিম পাড়ে বাচ্চা ফুটায়।
মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের হড্ডা গ্রামের মৃত রুপচাদ মন্ডল পুএ ভৃতি মন্ডাল বলেন, ছোট বেলায় দেখিছি পথের ধারে, বাড়ির আনাচে-কানাচে অনেক তাল গাছ দেখা যেত কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষ তাল গাছ কেটে ফেলার ফলে আজ আর তাল গাছের মগডালে চির চেনা বাবুইপাখির বাসা কমই নজরে পড়ে। তালগাছ কেটে ফেলা, বৈরী আবহাওয়ার ফলে আজ তালগাছে বাবুইপাখির কলতান আজ কমই শোনা যায়।তবে ভবিষ্যতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছপালা এবং পাখপাখালির কোন বিকল্প নেই।#