আরাফাত হোসেন, শিবগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি: সাম্প্রতিক সময়ে ভারত সরকার বিশেষ কিছু ক্ষেত্র ব্যতীত বাংলাদেশী নাগরিকদের ভিসা প্রদান বন্ধ রেখেছে। এ প্রেক্ষিতে সীমান্তবর্তী কিছু বাংলাদেশী দুষ্কৃতকারী/অসাধু ব্যবসায়ী কতিপয় নির্দিষ্ট কিছু ভারতীয় নাগরিকের মাধ্যমে অবৈধ বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপন করতঃ বিপুল পরিমাণ পণ্য সামগ্রী নিয়ে আসছে।
একজন পাসপোর্টধারী যাত্রীর জন্য সাধারণত তার ব্যক্তিগত ব্যবহারের প্রয়োজনীয় মালামাল বহন করার নিয়ম থাকলেও এই ক্ষেত্রে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য অতিরিক্ত মালামাল বহন করার ঘটনা ঘটছে। এই সকল ভারতীয় যাত্রীগণ অধিক পরিমাণ মালামাল নিয়ে এসে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশী অসাধু ব্যবসায়ীর নিকট হস্তান্তর করতঃ পুনরায় ভারতে প্রত্যাবর্তন করছে। এ ধরনের অবৈধ বাণিজ্যের সাথে সম্পৃক্ত একজন ভারতীয় নাগরিক জনৈক হাইয়ুল শেখ (পাসপোর্ট নং -Y9496659), পিতা: কেতা শেখ, গ্রামঃ মাহাদীপুর মাস্টার পাড়া, থানা: ইংলিশ বাজার, জেলাঃ মালদা অদ্য ১৫ আগস্ট ২০২৫ তারিখ ভারতীয় জিলেট ব্লেড-২২৫০ টি এবং ভারতীয়ি নিভিয়া ক্রিম-১৮০০টি (অতিরিক্ত মালামাল) আনয়ন করে, যার ওজন ৮০ কেজি।
উক্ত ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে অবস্থানকালীন ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় কাপড় কিংবা অন্য কোন মালামাল সঙ্গে বহন করেনি। অবৈধ উপায়ে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে মালামাল বহন করায় উক্ত মালামাল বিজিবি কর্তৃক জব্দ করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থার (কাস্টমসে জমা) জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয় বলে জানা যায়।
তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, উক্ত ভারতীয় নাগরিক সাম্প্রতিক সময়ে গত ০৮ আগষ্ট ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশে আগমন/প্রস্থান করে। এছাড়াও সে গত ২১ জুলাই ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশে আগমনের সময় ১০৮ কেজি অতিরিক্ত মালামাল আনয়ন করায় বিজিবি -বিএসএফ কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে তাকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মালামালসহ ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। সোনামসজিদ আইসিপি দিয়ে সুকৌশলে এ ধরনের অবৈধ পন্থা অবলম্বনকারী ভারতীয় এবং বাংলাদেশী অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।#