1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
তানোরে আলুর বীজ নিয়ে মহা সিন্ডিকেট দিশেহারা চাষীরা! খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়  বাগমারার হাটগাঙ্গোপাড়া মডেল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন বাংলাদেশ জার্নালিস্ট প্রটেক্ট কমিটির সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য অ্যাডভোকেসি কর্মশালা  সিংড়ায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত বটিয়াঘাটা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন কম্পিউটার কী বোর্ডের মাধ্যমে রাজশাহীতে পাহাড়িয়াদের মাতৃভাষার লিখন পঠন কার্যক্রম উদ্বোধন সিংড়ায় মাদরাসা দারুস সুন্নাহ বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ সি ইউ সি সংগঠনের সামাজিক কর্মকান্ডে অবদান রাখায়  রোটারিয়ান ইফতেখার আলী বাবুকে সংবর্ধনা ডুমুরিয়ায় শওকত মোল্যা স্মৃতি উন্মুক্ত পাঠাগারের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতি  অনুষ্ঠান 

উপ- সম্পাদকীয়ঃ ভারত-বার্মা সীমান্ত হয়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক আসছে

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২২
  • ১৮৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

জামান আহম্মেদ………………………………………..

চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী বিশ্বের সকল সীমান্ত দিয়ে পার্বতীয় দেশগুলোতে অনুমোদনবিহীন যে কোন পণ্য চোরাই পথে সীমন্ত বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ঢুকে পড়ে। কঠোর সীমান্ত ব্যবস্থা জোরদার করার পরও দেদারসে প্রবেশ করে।আমাদের দেশের অবস্থা ঠিক তেমনি।ভৌগলিক দৃষ্টি থেকে বাংলাদেশের প্রায সব দিকে ভারত এবং মায়ানমার সীমান্ত। ভারত এবং মায়ানমারা সীমান্ত দিয়ে স্বাধীনতার আগে থেকেই নিষিদ্ধ পণ্য আমাদের দেশে প্রবেশ করে অবাধে চোরাচালানীর মাধ্যমে।বিশেষ করে ভারতীয় কসমেটিকস, শাড়ী, থ্রি-পিস কাপড়সহ বিভিন্ন আকষর্ণীয় পণ্যের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক দ্রব্য সমানে আসছে। কোনমতেই এদু’টো অবৈধ পণ্য প্রবেশ বন্ধ করা যাচ্ছে না।

 

স্বাধীনতার আগে ও পরে বাংলাদেশ থেকে সোনা, ছঁদি, ডায়মন্ড, পুরুষদের তৈরি পোষাক, কাপড়, টেপরোর্ার, ভিসিপি, ভিসিআর, পাট, দেশী মুরগী ও হাঁসের ডিম, সোয়াবিন, পাম্পওয়েলসহ বিভিন্ন দ্রব্য অবৈধ পথ দিয়ে ভারতে সুঁড় সুঁড় করে প্রবেশ করতো। তার বিনিময়ে চোরাই পথে বাংলাদেশে আসতো চিনি, লবণ, বিড়ি(পাতার)।সে সাথে আসতো অল্প মাত্রায় মাদক দ্রব্য। মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় উন্নতমানের মদ, ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজাসহ যত প্রকারের মাদক রয়েছে তার সব গুলোই আসে ভারত থেকে। মাদকের মরণ নেশায় ভাসছে গোটা বাংলাদেশ। কোনভাবেই রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।

 

আর মাত্র বছরখানেক দেড়েক পর জাতীয় সংসদ নির্াচন। তার আগে দেশের বেশ কয়েকটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এনির্বাচকে ঘিরে অস্ত্রব্যবসায়ী এবং মাদক ব্যবসায়ীরা সারা দেশকে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে সুকৌশলে ঢুকিয়ে দিচ্ছে দেশ বিরোধী এসব মাদক ও অস্ত্র। যুবকদের হাতে চলে যাচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক। সঙ্গত কারণে দেশে দাঙ্গহাঙ্গামা বাধতে পারে। রাজনৈতিক পেশী শক্তির ফলে নির্াচনী মাঠ কাঁপানোর এটা অস্ত্র।রাজনৈতিক ব্যক্তিরা এদেরকে নির্াচনের মাঠে পেশী শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে। এটা আজ নতুন ঘটনা নয়, ৮০’র দশকের পর থেকে এধরণের ঘটনা আমরা সবাই দেখে আসছি।

 

এসব আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয় ক্ষমতা দখলের জন্য।আর এক শ্রেণির যুবককে ব্যতিব্যস্ত করে রাখায় মাদকের মধ্যে ডুবিয়ে রেখে।তাদের বোধশক্তি নস্ট করে দেয়া হয়।এতে করে দেশে রাজনৈতিক হানাহানি বৃদ্ধি পায়।এক শ্রেণির রাজনীতিবিদরা চান দেশকে অশান্ত রাখতে।তারা চায় সব সময় দেশে সন্ত্রাস মারামারি দাঙ্গা- হঙ্গোমা। এতে করে তারা সরকারের পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলার একটা ইস্যু দাঁড় করাতে পারে। সে ইস্যুকে কেন্দ্র করে দেশে একটা বড়ধরণের অশান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করে, এতে তাদের পোয়া বারা।কে মরলো আর কে বাঁচলো সেটা তাদের কাছে বড় কথা নয় ।সকল ইস্যুকে জিইয়ে রাখতে চায় তারা, তারজন্য দরকার অস্ত্র, শুধু অস্ত্র নয় আগ্নেয়াস্ত্রে। আর যুব সমাজ থেকে শুরু করে দাগী ফেরারী আসামী, পেশাদার খুনীরা এসব অস্ত্র ব্যবহার করে থাকে ভাড়াটিয়া হিসেবে অথবা নিজের স্বার্ চরিতার্ করার জন্য। অস্ত্র ব্যবসায়ীরা নির্বাচনকে মক্ষম সুযোগ হিসেবে তারা কাজে লাগানোর চেস্টা কর।

 

আর মাদক হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র’র চেয়েও মারাত্মক ভয়াবহ।একটি বুলেটের আঘাতে একটি মূল্যবান প্রাণ চলে যেতে পারে, মায়ের বুক খালি হয়ে যেতে পারে, স্ত্রী বিধবা হতে পারে সন্তান পিতৃহারা বা এতিম হতে পারে, কিন্তু মাদক গোটা পরিবারকে পঙ্গু করে দিতে পারে, গোটা সমাজ ধ্বংস হতে পারে, মাদকের আগ্রাসনে গোটা জাতি বিলুপ্ত হতে পারে। সে সমাজ বা জাতিকে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে উঠতে অনেক অনেক সময় লাগতে পারে। এতে করে গোটা দেশ সভ্য জাতি থেকে দূরে সরে গিয়ে অসভ্য জাতিতে রূপ নিতে পারে, দেশের উন্নয়ন পুরোপুরি বাধাগ্রস্ত হতে সময় লাগে না। গোটা সমাজ তথা দেশ অস্ত্রবাজ ও মাদকসেবীদের হতে জিম্মী হতে পারে।সমাজে চুরি , ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ, নারী ধশর্ণ ইভটিজিং, পাড়ায় পাড়ায় মারামারি হানাহানি নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতে পারে। শিক্ষা দিক্ষা হারিয়ে একটি বুভুক্ষ জাতিতে পরিণত হতে খুব বেশি সময় লাগে না।একজন গ্রীক দাশর্নিক বলেছেন শিক্ষা দিক্ষায় যে জাতি যত উন্নত সে দেশ ততো শক্তি সামর্থ্যে ততো বলীয়ান।

 

আমরা সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সভ্য শিক্ষিত জাতি চাই। আর দেশ যদি এরকম একটা জাতি উপহার দিতে পারে তবে বিশ্ব দরবার মাথা উঁচু করে যুগযুগ দাঁড়িয়ে থাকবে। আর আমরা এরকম একটি সমাজ জাতি এবং দেশ চাই।

 

অবৈধ অস্ত্র ও মাদক দ্রব্যের আমদানী পুরোপুর বন্ধ করতে না পারলে আগামি প্রজন্ম নিশ্চিত মৃত্যুর দ্বার প্রান্তে মৃত্যুর প্রগর গুনবে।একারণে যে কোন উপায়ে হোক দেশে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক আমদানী বন্ধ করতে হবে।সারা দেশের সীমান্ত সীলগালা করে দিতে যাতে এসব নিষিদ্ধ দেশে কোনভাবেই ঢুকতে না পারে।আশা করি সরকার নির্বাচন পরবতী র্সহিংসুতা বন্ধে এখনই যথাপোযোগী পদক্ষেপ নিতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। বৈধ পথ দিয়েও কোনভাবেই অস্ত্র ও মাদক দেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাবকে আরো সজাগ হতে হবে। চোরাকারবারীরা অনেক সময় বৈধভাবে প্রবেশ করে অবৈধ মালামাল নিয়ে।বিমানবন্দর স্থল বন্দর ও নৌ-বন্দরে কড়া পাহারা বসাতে হবে, যাতে অবৈধ উপায়ে একটি পাখীও উড়ে প্রবেশ করতে না পারে।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট