1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৫১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:

আবারো রাজশাহীতে ঋণের কিস্তির চাপ সইতে না পেরে কৃষকের আত্মহত্যা

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫
  • ৩০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

৥ মো: মমিনুল ইসলাম মুন, বিশেষ প্রতিনিধি : রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার খাড়ইল গ্রামের লোকসান হোসেনের ছেলে আকবর হোসেন ১১টি এনজিও এবং এলাকার সুদ কারবারীদের নিকট থেকে প্রায় ৭ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। প্রতি সপ্তাহে তাকে ঋণের কিস্তি শোধ করতে হতো ৫ হাজার টাকা। সম্বল ছিলো এক বিঘা পানের জমি। এবার পানের দাম কমে যাওয়ায় আকবর ঋণের কিস্তি ঠিকমতো শোধ করতে পারছিলেন না। প্রতিদিন ঋণের কিস্তি আদায়ের জন্য এনজিওর মাঠকর্মীরা বাড়িতে যেতো। তাদের চাপ সইতে না পেরে নিজের শেষ সম্বল পানের বরজে সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আত্মহত্যা করেছেন আকবর। দুই ছেলের পিতা ৫০ বছর বয়সী আকবর হোসেনের গলায় ফাঁ*স দেওয়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

Open photo

আকবর হোসেনরে ছেলে সুজন শাহ জানান, এক বিঘা জমির পান বরজের আয়েই সংসার চলতো তাদের। কিন্তু এবার পানের দাম না পেয়ে ঋণ পরিশোধ করতে কষ্ট হচ্ছিলো তার বাবার। তার বাবা ব্রাক, আশা, প্রশিকা, ভিলেজ এডুকেশন রিসোর্স সেন্টার (ভার্ক), ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (ডিএফইডি), শাপলা গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা, রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক), ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও), গ্রামীণ প্রচেষ্টা, পল্লী মঙ্গল কর্মসূচি (পিএমকে), গ্রামীণ উন্নয়ন কেন্দ্র (গাক) নামের এনজিও ছাড়াও এলাকার সুদের কারবারীদের নিকট থেকে ঋণ নিয়েছিলেন।

Open photo

মোহনপুর থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, এ বছর পান বরজে লোকসান হওয়ায় আকবর ঋণ পরিশোধ করতে পারেননি। হতাশা থেকে তিনি নিজের পান বরজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ‘ঋণের চাপে ও খাবারের অভাবে’ স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার পর চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেন রাজশাহীর পবা উপজেলা বাকশিমুল গ্রামের কৃষক মিনারুল ইসলাম।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট