# আত্রাই উপজেলা প্রতিনিধি : নওগাঁর আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কতিপয় ডাক্তাররা ফিঙ্গার দিয়ে ডিউটিতে থেকেও বাহিরে চেম্বার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা যথাসময়ে হাসপাতালে যান না এবং যথাসময়ের পূর্বেই তাদের কে হাসপাতাল ত্যাগেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, হাসপাতালের কাজের ফাঁকে বাহিরে গিয়ে ও চেম্বার করার অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা রোকসানা হ্যাপি ও বাহিরে রোগী দেখেন। হাসপাতালে কোন ইমারজেন্সি রোগী কথা বললে তিনি সাফ জানিয়ে দেন তিনি এখানে আমার দায়িত্ব রোগী দেখা না। আমার প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করতে সময় চলে যায়। ডাঃ জাহিদুল ইসলাম এসেছেন মেডিকেল অফিসার হিসাবে। তিনি প.প কর্মকর্তার যোগসাজশে কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছে মত অফিসে আসে সপ্তাহে দু তিন দিন। মুঠোফোনে তাঁর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- আমার রাতে ডিউটি থাকে আর আল্ট্রাসনোগ্রাম করি আর বেশি কথা না বলে ফোন কেটে দেন।
অপরদিকে হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ কে ঘিরে কতিপয় ডাক্তার তাদের মনোনীত ডায়াগনস্টিক সেন্টার রোগী পাঠান। অন্য ডায়াগনস্টিক থেকে রিপোর্ট করালে তারা রিপোর্ট দেখতে চাননা বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মহতাব আলী নামে এক ব্যক্তি জানান, ডাক্তাররা ডায়াগনস্টিক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ায় তারা হাসপাতালের রুগীদের কে তাদের সেন্টার মুখী করতে এই প্রচেষ্টা।
জরুরী বিভাগে চলে চরম সিন্ডিকেট। রোগী এলেই তাঁকে সে ভাবে না দেখেই পাঠানো হয় জেলা বা বিভাগীয় সদরে। সাহিদা নামের এক রুগী বলেন, কথায় বলে পুলিশের বৌ নাকি দারোগা হয় ঠিক তেমনি হাসপাতালের নার্সরা ডাক্তারের চেয়েও লর্ড। একদিকে তাদের বাজে আচরণ অপরদিকে কেনুলা, স্যালাইন সব তাদের রুম থেকে করে আসতে হয় নতুবা তাদের রক্তচক্ষু দেখতে হয়। কিছু বললে বাহিরে ক্লিনিকে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
মুনাক্কা নামের একজন বলেন, সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে বাম হাতে ও নাকে ক্ষত হয় আমার নাতনির আত্রাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একটু দেখে কোন চিকিৎসা না দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলে। পরে ভবানীগঞ্জ ডা: বারী’র কাছে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসাতেই আমার নাতনি অনেকটা সুস্থ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা: রোকসানা হ্যাপির সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান,এগুলো অভিযোগের বিষয়ে আমার কোনো কিছু বলার নাই। আমি কিছু বলতেও চাই না।#