লালপুর, নাটোর প্রতিনিধি…………………………………………….
নাটোরের লালপুরে জাল ও জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরীর ভূয়া নিয়োগপত্র প্রদান ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ২ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার(২৫শে অক্টোবর-২২) আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলহাজতে পাঠিয়েছে লারপুর থানা পুলিশ।
সূত্রে জানা গেছে, নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার পানঘাটা এলাকায় বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে সোমবার(২৪ অক্টোবর) তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, লালপুর উপজেলার পানঘাটা গ্রামের আকছেদ কাজীর ছেলে সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক নুরুল ইসলাম (৩৮) ও বড়াইগ্রামের মালিপাড়া গ্রামের জুলফিকার গাজীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৬)।
সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প, র্যাব-৫, রাজশাহীর কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন বলেন, লালপুরের গোধড়া গ্রামের আবের আলীর ছেলে মনোয়ার হোসাইন (২২) ও বড়াইগ্রামের আটঘরি গ্রামের দিলীপ চন্দ্র হালদারের ছেলে অনুপ কুমার হালদার (২৮) গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, গ্রেপ্তারকৃতরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ষ্টোরম্যান ও অফিস সহকারী পদে চাকুরিতে নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে দুই জনের নিকট হতে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে দুটি ভূয়া নিয়োগপত্র প্রদান করেন। সেনাবাহিনীর লোগোযুক্ত বিআরইউ/এআরটি, ডিএ এজি (রিক্রুটিং), ঢাকা সেনানিবাস, ইং-১৭/০৪/২০২২ চাকুরির শর্তাবলিসহ নিয়োগপত্রে উল্লেখিত যোগদানের তারিখে সংশ্লিষ্ট অফিসে যোগদান করতে গিয়ে জানতে পারেন নিয়োগপত্র সঠিক নয় এবং ভুয়া।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলার পানঘাটা এলাকায় বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে সোমবার (২৪ অক্টোবর) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তিনটি ভূয়া নিয়োগপত্র, একটি চুক্তিনামা, মোবাইল ফোন ও সীমকার্ড জব্দ করা হয়। র্যাব জানায়, তারা চাকুরী প্রত্যাশী যুবকদের চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে অর্থের বিনিময়ে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে কৌশলে প্রতারণার মাধমে কম্পিউটারে ইডিটিং করে সেনাবাহিনীর মনোগ্রামসহ সিল মোহর ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে চাকুরীর ভূয়া নিয়োগপত্র তৈরী ও ভূয়া নিয়োগপত্র প্রদান করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন।
লালপুর থানার ওসি মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় থানায় প্রতারণা মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।#