শাহরিন সুলতানা সুমা, গাইবান্ধা : দীর্ঘ ৪৭ বছরের পথচলায় এই সংগঠনটি যেমন জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, তেমনি আন্দোলন-সংগ্রামে বারবার রাজপথের প্রথম সারিতে থেকে প্রমাণ করেছে নারীরাও পারে নেতৃত্ব দিতে, পারে দিক নির্দেশনা দিতে। আজকের অনুষ্ঠানটি ছিলো আমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ববোধের বাস্তব প্রতিফলন। সুন্দরগঞ্জের যেসব সাহসী নারী নেত্রী ও কর্মী আজকের কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন, তাঁদের চোখে আমি এক নতুন প্রত্যয়ের আলোকছটা দেখেছি যা আগামীর গণতান্ত্রিক সংগ্রামের শক্তি হয়ে উঠবে। আজকের প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে আরও একবার উপলব্ধি করলাম গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই লড়াইয়ে আমাদের মা-বোনেরা শুধু সমর্থক নন, তাঁরাও আন্দোলনের কাণ্ডারি হতে চান।
আগামী দিনের সুন্দরগঞ্জে নারী নেতৃত্বকে আরও সুসংগঠিত, সচেতন ও ক্ষমতায়ন করতে হলে মহিলা দলকে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে আরও মজবুত করতে হবে। শুধু সভা-সমাবেশে নয় ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। নারী ভোটারদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরি করতে হবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তাঁদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিতে হবে যাতে তাঁরা শুধু অনুসরণ না করে নেতৃত্ব দিতে শিখেন। আমি বিশ্বাস করি, বিএনপি শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয় এটি একটি আন্দোলনের নাম, যেখানে প্রতিটি মানুষ, প্রতিটি নারী, প্রতিটি যুবক গুরুত্বপূর্ণ।
সুন্দরগঞ্জে বিএনপির একজন ক্ষুদ্র কর্মী এবং গাইবান্ধা-১ আসনের একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, নারী নেতৃত্বকে আমি শুধু মূল্যায়ন করবো না, তাঁদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আগামী দিনের পথচলায় সক্রিয় অংশীদার করবো। আমাদের এই লড়াই কেবল একটি দলের নয় এটি জনগণের,মাতৃভূমির। আর এই লড়াইয়ে মহিলা দল আমাদের অন্যতম প্রধান শক্তি হবে। আজকের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আমি আরও একবার আশ্বস্ত হয়েছি, সুন্দরগঞ্জ প্রস্তুত। প্রস্তুত সংগঠনের ভিত্তি থেকে নেতৃত্ব নির্মাণে এবং অবশ্যই প্রস্তুত, সত্যিকার অর্থে একটি নতুন সুন্দরগঞ্জ গড়তে যেখানে রাজনীতি হবে মানুষের অধিকার ও মর্যাদার প্রতিনিধিত্ব।#