বিশেষ প্রতিনিধি ঃ কালের পরিক্রমায় বাংলা-ইংরেজি সালের মতো ফিরে আসে হিজরি নববর্ষ। হিজরি সনের প্রথম মাস, মহররম মাস মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র মাস হিসেবে বিবেচিত। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও আনন্দ-উৎসবসহ সব ক্ষেত্রেই মুসলিম উম্মাহ হিজরি সনের অনুসারী। মুসলিম জীবনে সন ও তারিখের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
মুসলিম উম্মাহর তাহজীব-তামাদ্দুন ও ঐতিহ্যের ভিত্তি সম্পৃক্ত। রোজা, হজ, ঈদ, শবেবরাত, শবে মিরাজ, ঈদে মিলাদুন্নবীসহ ইসলামের বিভিন্ন বিধি-বিধান হিজরি সনের উপর নির্ভশীল। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, হিজরি সনের গুরুত্ব বেশি হলেও বাংলা ও ইংরেজি সনের মতো জাঁকজমকতা নেই। কিন্তু হিজরি নববর্ষকে গুরুত্ব সহকারে পালন করাই মুসলমানদের কাম্য।
রাজশাহীর বাঘায় বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারেও গৌরবময় হিজরি সনের ১২ টি মাসের তাৎপর্য তুলে ধরে হিজরি নববর্ষ-১৪৪৭ এর বর্ষবরণ উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৭-৬-২০২৫) বাঘা সদরে বাদশা কপি হাউজে এর আয়োজন করা হয়।
বাঘা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক আব্দুল লতিফ মিঞার সভাপতিত্বে বাদ এশা দোয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গৌরবময় হিজরি সনের তাৎপর্য ও গুরুত্বসহ সচেনতা বৃদ্ধির লক্ষে হিজরি মাস,দিন তারিখের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। পরে সুখ, শান্তি-সম্বৃদ্ধি কামনায়, আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আনজারুল ইসলাম।
উপস্থিত ছিলেন- প্রভাষক নবাব আলী,প্রভাষক আব্দুল হানিফ মিঞা,প্রভাষক সাইফুল ইসলাম, বাঘা পৌর বিএনপির সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামাল হোসেন, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আক্কাছ আলী,সাংবাদিক গোলাম তোফাজ্জল কবীর মিলন, সাংবাদিক সাইদুল ইসলাম,সাংবাদিক আব্দুল হামিদ মিঞা,সাংবাদিক জহরুল ইসলাম,অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুল হালিম মিঞা, বাদশা আলমগীর, পল্লী চিকিৎসক হাবিবুর রহমান,হাফেজ ফয়সাল আযম ও মিশেলসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, হিজরি সনের তাৎপর্য ও গুরুত্বসহ সচেনতা বৃদ্ধির লক্ষে বিগত ১৪ বছর আগে (হিজরি-১৪৩৩) নববর্ষ পালনে উদ্যোগ নেন,বাঘা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল লতিফ মিঞা। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অংশগ্রহনে ব্যাপক জাঁকজমকতা ছাড়াই দিবসটি উদযাপন হয়ে আসছে। #