শাহীন আলম লিটন, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি !!!
কুষ্টিয়া সদরে চারটি খাবার হোটেল ভাঙচুরের পর তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। অভিযোগ উঠেছে, এসব হোটেলে খাবারের ব্যবসার আড়ালে নারীদের দিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হত।
রবিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মহিষাডাঙ্গা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
যাদের হোটেল আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- শেকম মন্ডল, জাহাঙ্গীর মন্ডল, হারুন বিশ্বেস ও ওহেদ আলী। এসময় মহির আলীর চায়ের দোকানেও আগুন দেওয়া হয়। এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও হোটেল মালিকদের পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসী জানান, কুষ্টিয়া সদরের ইবি থানার কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের মহিষাডাঙ্গা-বিত্তিপাড়া মধ্যবর্তী ১১ মাইল এলাকায় খাবার হোটেলের আড়ালে নারীদের দিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছিল। হোটেল মালিকরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে এ অপকর্ম চালিয়ে আসছিলেন। এলাকাবাসী হোটেল মালিকদের নিষেধ করলেও তারা কথা শোনেননি। এ কারণে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী চারটি হোটেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
স্থানীয় বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, “বিভিন্ন সময়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধে হোটেল মালিকদের বলা হলেও তারা কথা শোনেননি। আজ বিক্ষুব্দ জনতা চারটি হোটেল ও একটি চায়ের দোকানে আগুন ধরিয়ে দেন।”
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, “মহিষাডাঙ্গা-বিত্তিপাড়া মাঠের মধ্যে কয়েকটি খাবার হোটেল আছে। সেসব হোটেলে ট্রাকের ড্রাইভার-হেলপাররা খাবার খান। হোটেলের আড়ালে দেহ ব্যবসার অভিযোগে স্থানীয় কিছু মানুষ তিনটি হোটেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম যায়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।#