মেঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি: যশোরের অভয়নগর উপজেলার ৭ নং শুভরাড়া ইউনিয়নের মহিলা মেম্বার সেলিনা আক্তার লিজার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ভাতার কার্ড করিয়ে দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেওয়া হয়। সেই তদন্ত প্রতিবেদনের ফাইল টাকার বিনিময়ে গায়েবের অভিযোগ উঠেছে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, অভয়নগর উপজেলার ইউএনও অফিসে। গত ২০২৪ সালের ১৬ মে ভুক্তভোগী মোছান্মত লাকি নিজে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিভাগীয় কমিশনার, যশোর জেলা প্রশাসক ও অভয়নগর ইউএনও বরাবর। ওই অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় মহিলা বিষয়ক কমকর্তা রাজকুমার পাল কে। তদন্তকাারী কমর্কতা অভিযোগকারী সহ অন্যান্য ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে তাদের বয়ান শোনেন। দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ তদন্তকারী কর্মকতা সেলিনা আক্তার লিজার বিরুদ্ধে আনিতো অভিযোগের সত্যতা পান বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে ইউএনও অফিসে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এর পর থেকে সেই প্রতিবেদনের ফাইল আর খোঁজ করে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অফিস পাড়ায় চাউর হয়।
টাকার বিনিময়ে তৎকালীন উপজেলায় (অফিস কাম কম্পিউটার অপারেটর) পদে কর্মরত সিধু বিশ্বাস টাকার বিনিময়ে তদন্ত রিপোর্ট বার-বার গায়েব করে রাখেন। এনিয়ে একাধিক বার তৎকালীন উপজেলা কমকর্তা সিধু বিশ্বাস (অফিস কাম কম্পিউটার অপারেটর)’র সাথে কথা বলেও কোন সমাধান হয়নি।ফলে দীর্ঘদিন ওই মহিলা মেম্বারের বিরুদ্ধে কোনধরনের আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যে কারনে মহিলা মেম্বার থেকে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
অন্যদিকে বিতর্কিত ওই (অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর) সিধু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভয়নগর উপজেলায় কর্মরত থাকা অবস্থায় সাধারণ এক কৃষকের কাছে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করার অভিযোগ আছে। নানারকম অভিযোগ থাকার পরেও তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি কোন আইনী পদক্ষেপ। শুধু বদলি করেই কর্তৃপক্ষ দায়মুক্তি পেয়েছে। অথচ বিতর্কীত ওই কর্মকর্তা অভয়নগর উপজেলায় থাকা অবস্থায় নানামুখী দুর্নীতিসহ সুনির্দিষ্ট অপরাধ সংঘটিত করেছেন।
নানামুখী দুর্নীতি করেও তিনি বর্তমান যশোর চৌগাছা উপজেলায় রয়েছেন বহালতবিয়তে। জরুরি ভাবে বিতর্কীত ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেছেন সচেতন মহল। এবিষয়ে বিতর্কীত ওই কর্মকর্তা বর্তমান চৌগাছা উপজেলায় কর্মরত (অফিস কাম কম্পিউটার অপারেটর) সিধু বিশ্বাসের মুঠোফোনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চায়লে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের ঘটনায় আমি জড়িত নয়।
এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাজকুমার পাল বলেন, আমি ওই তদন্ত প্রতিবেদন এর আগে ৪বার জমা করেছি। এখন উপজেলা থেকে যদি একাধিক বার রিপোর্ট গায়েব হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে আমি কি করতে পারি।
এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, আমার দপ্তর থেকে যদি তদন্ত রিপোর্ট গায়েব হয়ে থাকে তা খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে#