বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় পূর্ব শত্রুতার জেরে ১৪ বছর বয়সী ছেলে মৃদুল আহম্মেদ ওরফে দিপুকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। প্রতিবেশী নবাব প্রামানিক ওরফে লবা ও তার দুই ছেলে রেজাউল প্রামানিক ও রবিউল প্রামানিক। গুরুতর আহত দিপু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার শরীরে একশ’র উপরে সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন, দিপুর সহোদর ভাই মিশন ফকির। গত বুধবার (৩০মে) রাতে ফতেপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে দিপুকে কুপিয়ে জখম করা হয়। সে উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের ফতেপুর বাউসা গ্রামের মমিন ফকিরের ছেলে।
শুক্রবার (৩১মে) রবিউল প্রামানিক নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের একই ফতেপুর বাউসা গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, ২সপ্তাহ আগে কে বা কাহারা নবাব প্রামানিক ওরফে লবার বাড়ির আঙিনার খড়ির পালায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে দিপুর পরিবারকে সন্দেহ করে নবাব প্রামানিক। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। যার জের ধরে বুধবার রাতে পূর্ব পরিকল্পিত ধারালো হাসুয়া দিয়ে দিপুকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
দিপুর বাবা মমিন ফকির বলেন, বাজার থেকে আগে দিপু বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দেয়। তার কিছুক্ষণ পরে আমিও বাজার থেকে বাড়িতে ফিরছিলাম। পথিমধ্যে দেখি ছেলে দিপু রক্তাত্ত শরীরে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় সড়কের পাশে পড়ে আছে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠান।
বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোয়েব খান বলেন, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। মামলায় রবিউল প্রামানিক নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর দু’জন পলাতক রয়েছে।#