এই শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল প্রশ্নে রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় দেন।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাতিল হওয়া আসনগুলোতে ওয়েটিং লিস্ট থেকে আসন পূরণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ভর্তি বাতিলকৃত শিক্ষার্থীদের অনলাইন সিস্টেমে আবেদন ও ভর্তির ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম ছিল কি না? তা তদন্তের নির্দেশ দিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছে হাইকোর্ট বিভাগ।
আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন আদালতের রায়ের বিষয়টি জানান।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শামীম সরদার। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল কাজী মঈনুল হাসান। ১৬৯ শিক্ষার্থীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান খান ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।ভিকারুননিসার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম।
ভিকারুননিসায় ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের নিয়ম না মানার অভিযোগ এনে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি-ইচ্ছুক দুই শিক্ষার্থীর মা গত ১৪ জানুয়ারি রিট করেন। সে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগ রুলসহ আদেশ দেন। একপর্যায়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) একটি স্মারক হাইকোর্ট বিভাগে উপস্থাপন করে। যেখানে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা অনুসরণ করেনি উল্লেখ করে বলা হয়, ১ জানুয়ারি ২০১৭ সালের আগে জন্মগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার প্রক্রিয়া ছিল বিধি বহির্ভূত। এসব ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০১৫ সালে জন্মগ্রহণকারী ১০ জন ও ২০১৬ সালে জন্মগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫৯ জন। এসব শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে শিগগিরই মাউশিকে জানাতে অনুরোধ করা হয়। এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষ ১৬৯ জনের ভর্তি বাতিল করে। ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের পর অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে শূন্য আসনে ভর্তি নিতে গত ৬ মার্চ নির্দেশনা দেয় হাইকোর্ট বিভাগ। ওই আদেশের বিরুদ্ধে ভর্তি বাতিল হওয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আপিল বিভাগে আবেদন করে। সে আবেদনের শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ভিকারুননিসা নূন স্কুলের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল হাইকোর্টকে দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়। সেইসাথে এই সময় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল ও অপেক্ষমাণদের ভর্তির ওপর স্থিতাবস্থা জারি করে সর্বোচ্চ আদালত। অবশেষে রুল শুনানি পর আজ রায় দিলো উচ্চ আদালত।#বাসস