# বিশেষ প্রতিনিধি……………………………………….
গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখে ৬০ (ষাট) হাজার টাকা ধারে নিয়েছিলেন বাঘা উপজেলার কিশোরপুর বিলপাড়া গ্রামের শামসুল হকের ছেলে শামীম ওসমান। রাজশাহী কোটের্র পিন্টু মোহরারের উপস্থিতিতে লিখিত আকারে তার গ্রামের আরমান আলীর ছেলে বকুল আলীর কাছ থেকে সে সহ তার মামাতো ভাই সুজন, ভ্যান চালক আয়নাল ও বকুলের বড় ভগ্নিপতি মিলে তারা ওই টাকা ধারে নিয়েছিলেন বলে জানান শামীম।
শামীম ওসমান জানান,১৫ দিন পরে বকুল ও তার বোন, তার বাসায় গিয়ে টাকা চান। ওই সময় টাকা দিতে না পারায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন তারা। পরে গ্রামের নান্টু ও তার পিতা সুরুজকে দিয়ে টাকা আদার চেষ্টা করেন বকুল। তারা টাকা আদায়ের জন্য বাডিতে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে। তাদের ভয়ে জীবন বাঁচানোর তাগিদে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান শামীম। তাকে না পেয়ে তার পরিবারের উপর চড়াও হয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিচ্ছেন।
শামীমের অভিযোগ, বকুলের পক্ষ নিয়ে,নান্টু ও তার পিতা সুরুজ ৮০ হাজার টাকার দাবি করে বলেন, টাকা না দিতে পারলে পেট্রোল দিয়ে ঘরবাডি পুড়িয়ে দেওয়াসহ প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। পরে বকুল ও বকুলের বোনকে ডেকে পাঁচ হাজার টাকা হাতে ধরিয়ে দেন শামীমের মা। একমাস পরে ১৫ হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানান তারা।
৬০ হাজার টাকা নিয়ে ৮০ হাজার টাকা কেন দিতে হবে- এ কথা জানতে চান শামীমের মা। এ নিয়ে শামীমের মাকেও গালিগালাজ করে এবং ভয় ভীতি দেখায়ে বলে তাকে বেঁধে রাখলে টাকা দিবে। তারা শামীমের বাপকে ধরে নিয়ে গিয়ে সাদা কাগজেও স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করে। শামীম ওসমান, বিষয়টি নিয়ে পুলিশের শরণাপন্ন হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে নেওয়ার কথা বলেন ও তার বাবাকে সেখান থেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
শামীমের মায়ের দাবি, ছেলে বাড়িতে না থাকায় টাকা আদায়ে তাদেরকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছ। এতে শঙ্কিত তারা। শামীম ওসমানের দাবি, তিনি ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছেন। বাঁকি ১৫ হাজার টাকা পাবে বলে জানান।
নান্টুর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ করে সাংবাদিকের কাছে বলেন, তার বিরুদ্ধে থানায় মামলাও রয়েছে। গ্রামের ২/৩ জনকে কুপিয়ে জখমও করেছে। যোগাযোগ করেও নান্টুর বক্তব্য নেওয়া সম্বব হয়নি। বকুল আলীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও ফোন রিসিভ করেননি। এর পরে দেওয়া ফোন রিসিভ করলে বিষয়টি জানতে চাইলে পরে কথা বলবেন বলে রেখে দেন। #