সুমন, রাজশাহী………………………………………………………………….
এযেন সর্ষের ভেতরেই ভূত। যাদের দায়িত্ব মাদকমুক্ত করার- তাদের কেউ কেউ অর্থের বিনিময়ে মাদক ব্যবসায়ীদের আদালতে সোপর্দ না করে ছেড়ে দিচ্ছেন। আইন-শৃংখলা বাহিনীর এমন এক কর্মকর্তার কথা উঠে এসেছে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে।
নিয়ম অনুযায়ী মাদক আটক করলে তার সিজার লিষ্ট তৈরি করে থানায় সোপর্দ করা এবং মাদকসহ আটক ব্যক্তিকে কোর্টে পাঠানোর নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। একটি সক্রিয় সিন্ডিকেট সোর্স ব্যবহার করে মাদক ব্যবসায়ীদের ডেকে এনে তাদের থেকে ফেনসিডিল, ইয়াবা গাঁজা আটক করছেন ঠিকই, তবে তা থানায় জমা না রেখে এবং মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার না করে উল্টো তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে চারঘাট মডেল থানার পুলিশ কর্মকতা বিরুদ্ধে।
চারঘাট থানা এলাকার ইউসুফপুর বাজার থেকে ফেনসিডিল ব্যবসায়ী বালিকে মাদকসহ ধরলেও চারঘাট থানার এ এসআই আজিজ রহমান চালান না দিয়ে অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৩ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় ইউসুফ পুর বাজারের পাশ্বে হতে মাদক কারবারি বালিকে ফেনসিডিল সহ ধরার পর মাদক ব্যবসায়ী বালিকে বলে ২০ হাজার টাকা দ, তা না হলে থানায় নিয়ে গিয়ে হেরোইনের মামলায় চালান দিবো। পরে বালির পরিবারের কাছে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ভাই আমি নন্দনগাছি এলাকায় ডিউটি করছি কাল সকাল ১১টায় আমি আপনার সাথে দেখা করবো বলে ফোন কেটে দেয়। মাদকের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স থাকলেও কিছু অসাধু কর্মকর্তার জন্য শতভাগ সফলতা আসছে না।
এ বিষয়ে জানতে চারঘাট থানার সার্কেল এ এসপি প্রণব কুমার জানান, মাদক কারবারীর কোন ছাড় নাই। মাদকের বিরুদ্ধে থানার প্রত্যেক অফিসারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনা যদি সত্য হয় তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।#