# ইফতেখার আলম বিশাল, রাজশাহী …………………………………………………
রাজশাহী নগরীতে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে এক প্রবাসীর ৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে হড়গ্রাম বাজার এলাকার প্রতারক মো: হযরত আলী বাবুর (৫৮) বিরুদ্ধে। রোববার (৮ অক্টোবর) ভুক্তভোগী সৌদি প্রবাসী মশিউর রহমান ডলার এ তথ্য জানান।
নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানাধীন হড়গ্রাম বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রতারক হযরত আলী বাবুর বিরুদ্ধে ৪০৬/৪২০ ও ১৩৮ ধারায় জেলা রাজশাহী বিজ্ঞ রাজপাড়া আমলী আদালতে পৃথক দুটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।
আদালতের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাজপাড়া থানার বিলশিমলা এলাকার বাসিন্দা মশিউর রহমান ডলার দীর্ঘদিন থেকে সৌদিয়া আরবে থাকেন। প্রতারক হযরত আলী ভুক্তভোগীকে প্লটের ব্যবসায় অধিক মুনাফার কথা বলে গত ৩১/০৬/২০২২ ইং তারিখে নগদ ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এবং জেলা রাজশাহী নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ৩০০ টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে একটি অঙ্গীকারনামা সম্পাদন করে দেন। সেই আমমোক্তার নামায় জানুয়ারি ২০২৩ সালে লভ্যাংশ সহ মোট ৯ লাখ টাকা পরিশোধ করার কথা থাকলেও এছাড়া প্লট বিক্রির পরেও প্রতারক হযরত আলী ভুক্তভোগীকে বিনিয়োগকৃত কোনো টাকা প্রদান করেননি। প্রতারক হযরত আলী বাবু সরলতার সুযোগে সৌদি প্রবাসী মশিউর রহমানকে চান্দুরিয়া কুমরপুর রানীনগর মৌজায় ১.৩২০০ একর জমি দেখিয়ে হাতিয়ে ৬ লাখ টাকা নিয়েছেন। ৬ জন অংশিদারিত্বের মোট ৩৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন তারা। ৫জন অংশীদার তাদের নিজ নিজ প্লট বিক্রির টাকা সোমান ভাগে ভাগ করলেও প্রবাসী মশিউর রহমানের টাকা নিজের কাছে রেখেদেন হযরত আলী বাবু।
মশিউর রহমান দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার কারণে প্লট বিক্রির মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আসছিল ঐ প্রতারক। অবশেষে প্লট বিক্রি হয়ে যাওয়ার পরও টাকা ফেরত চাইলে বাঁধে বিপত্তি। টাকা ফেরত চাইলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও প্রদান করে ওই প্রতারক। এ ব্যাপারে ওয়ার্ডা কাউন্সিলর, থানা ও র্যাব অফিসেও অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি প্রবাসী মশিউর রহমান। পরে নিরুপায় হয়ে ঐ প্রবাসী দারস্থ হয়েছেন আদালতে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী মশিউর রহমান ডলার বলেন, হযরত আলী বাবু তিনি একজন হাজি মানুষ, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন, এছাড়া তার পোশাক পরিধি মুখে দাড়ি টুপি দেখে আমাকে মুগ্ধ করে। তবে জানতাম না তার এই পোশাকের আড়ালে একজন প্রতারক লুকিয়ে আছে! আর্থিক স্বচ্ছলতার কথা ভেবে বিশ্বাস করে তার সাথে ব্যবসায় নেমেছিলাম। আমি দীর্ঘদিন থেকে সৌদি প্রবাসী, আমার কষ্টার্জিত ৬ লাখ টাকা দিয়েছি প্লট ব্যবসার জন্য কিন্তু হযরত আলী আমার সাথে প্রতারণা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমি একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা। জিবিকার তাগিদে বছরের পর বছর স্ত্রী সন্তান বাবা মা ছেড়ে পড়ে আছি প্রবাসে। আমার কষ্টার্জিত সঞ্চয়ের সমস্ত টাকা ব্যবসায় বিনিয়োগ করে পড়েছি বিপাকে। আমি ন্যায় বিচার ও আমার টাকা ফেরত চাই।
এব্যাপারে জানতে হযরত আলী বাবুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি ফলে তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়িনি।#