আলিফ হোসেন,তানোর…………………………………………………………………
রাজশাহীর তানোরের কচুয়া আইডিয়াল কলেজের আলোচিত অধ্যক্ষ ফুল- মোহাম্মদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী উপজেলার ইউপির গুড়ইল গ্রামের আজিজুল হকের পুত্র আব্দুল্লাহ আল কাফি বাদি হয়ে তানোর গ্রামের মৃত দোস্ত মোহাম্মদের পুত্র ও কচুয়া আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ ফুল-মোহাম্মদকে বিবাদী করে রাজশাহী বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে মামলা করেছেন। আগামি ১২/১০/২০২৩ তারিখ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য রয়েছে। এদিকে অধ্যক্ষ ফুল-মোহাম্মদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, মামলায় দোষী প্রমাণ হবার আশঙ্কায় মামলা তুলে নেবার জন্য অধ্যক্ষ ফুল-মোহাম্মদ তাকে নানা ভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি রায় ঘোষণার আগেই কাফিকে ফাঁসিয়ে বসে আনতে বিবাদী তার লোকজন দিয়ে কাফির বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
অভিযোগে প্রকাশ, তানোরে অধ্যক্ষ ফুল মোহাম্মদের মালিকানাধীন প্রিন্সিপাল প্লাজা রয়েছে। কাফি সেখানে সিটি ব্যাংক এজেন্ট শাখার জন্য ৪ লাখ টাকা জামানত দিয়ে ঘর নিয়েছেন। বিগত ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করেছেন।এছাড়াও কাফি সপিং মলের জন্য তিনি ২০ লাখ টাকা জামানত দিয়ে ৪৮০০ স্কয়ারফিট স্পেস বরাদ্দ নিয়েছেন। চুক্তি অনুযায়ী কমোন বাথ, দুটি এ্যাটাস্ট বাথ, তিনটি রুম সাটারিং ও মেঝে টাইলস করে দেবার কথা। বিগত ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা ভাড়া পরিশোধ করেছেন কাফি। কিন্ত্ত আজকাল করে তাকে ঘর বুঝে না দিয়ে অন্যর কাছে গ্যারেজ হিসেবে ঘর ভাড়া দিযেছে অধ্যক্ষ ফুল- মোহাম্মদ। অধ্যক্ষ ফুল-মোহাম্মদের প্রতারণায় আব্দুল্লাহ-আল কাফি আর্থিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, অধ্যক্ষ ফুল-মোহাম্মদ নানা কারণে আলোচিত। বিগত ২০১৬ অধ্যক্ষ ফুলমোহাম্মদ-এর নেপথ্যে সহায়তায় তার মার্কেটে ‘তরিকুল নাজাত মার্কেটিং কনসেপ্ট’ নামের একটি হায় হায় কোম্পানী সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে লাখ লাখ হাতিয়ে রাতারাতি উধাও হয়ে যায়। ওই সময় টাকা ফেরতের দাবিতে ভুক্তভোগীরা ফুল-মোহাম্মদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছিল। এছাড়াও তার বাড়িতে একটি কথিত কলেজ শাখা খুলে সনদ বাণিজ্য করা হয়েছিল। কিন্ত্ত তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ভ্রাম্যমান অভিযান চালিয়ে কথিত কলেজ বন্ধ করে দিয়েছিল।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ ফুল-মোহাম্মদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আদালতে মামলা করেছে আদালতেই মোকাবেলা করা হবে। এবিষয়ে আব্দুল্লাহ আল কাফি বলেন, অধ্যক্ষ ফুল-মোহাম্মদের প্রতারণায় তিনি এখন নিঃস্ব। তিনি বলেন, মামলায় সাজা হবে এটা বুঝতে পেরে তাকে ফাঁসিয়ে বসে আনতে অধ্যক্ষ ফুল-মোহাম্মদ নানা ষড়যন্ত্র করছে।#