# সাগর নোমানী…………………………………………………………………
আগামী ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপলক্ষে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রচারণায় প্রার্থী ও সমর্থকরা মাঠে নেমে পড়েছে।
মো: জানে আলম খান জনি ২০১৮ সালে রাসিক প্রথম নির্বাচন করেন।২০১৮ সালে রাসিক ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ভোটে মাত্র ৩ ভোটে হেরে যাওয়া প্রার্থী মো: জানে আলম খান জনি এবার জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী।
গণমাধ্যমের সাক্ষাৎ বলেন, আমি এবার ঘুড়ি প্রতীক পেয়ে নির্বাচনায় প্রচারণা নেমেছি।আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। গতবার মাত্র ৩ ভোটে হেরে গেলেও আমি জনসেবায় থেমে নেই, গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে সব সময় আছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ।বৈশ্বিক মহামারী করোনার সময় আমি আমার ওয়ার্ডে দুই বছরে দুইবার নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার সামগ্রী বিতরণ করেছি।আমার সাধ্যমত অক্সিজেন সাপ্লই দিয়েছি, কোন কোন সময় পরিবারের বাধাসত্বেও নিজেই অক্সিজেন সিলিন্ডার সেট করে দিয়ে এসেছি। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ফ্রী এ্যামবুলেন্স এর ব্যবস্থা করেছি। এছাড়াও সারা বছর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অসচ্ছল মানুষকে আর্থিক সহযোগিতা, রোগীদের চিকিৎসা ও ঔষুধ কিনে দেয়া সহ গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত-রীদেরও সহযোগিতা করে আসছি। এরকম সবসময় সবার পাশে থাকার কারনে তারাই আমাকে আবারও ভোটে দাঁড়াতে উৎসাহিত করেছেন। সাধারণ ভোটাররা পাঁচ বছর অপেক্ষায় ছিলেন এই দিনটির। তাই আমি এবার ভোটে জয়লাভে শতভাগ আশাবাদী।
তিনি বলেন, বিগত পাঁচবছর মেয়র জননেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের উন্নয়ের ধারাবাহিকতায় ৮ নং ওয়ার্ডও পিছিয়ে নেই, তবে এখনও কিছু সমস্যা রয়ে গেছে, যেগুলো আমাদের প্রিয় নেতা আবারও মেয়র নির্বাচিত হলে আমি অনুোধ করবো, সেগুলো নিশ্চয় সমাধান হবে। আমি নির্বাচিত হলে এলাকার যুব সমাজের নতুন কর্মসংস্থানের চেষ্টা করবো, পাশাপাশি লক্ষীপুর মোড়ে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদেরকে অনুরোধ করলেও তাদের প্রয়োজনের ভিত্তিতে অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে বলে আমি মনে করি।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই ওয়ার্ডে টিসিবির কার্ড নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গরীব ও অসচ্ছল মানুষের জন্য এই সিস্টেম চালু করেছেন৷ কিন্তু প্রকৃত অসচ্ছল মানুষ এগুলো পাচ্ছেন না। স্বজন প্রীতি হয়েছে আবার এরকমও হয়েছে ৫০-৬০ টি কার্ডের পণ্য তুলে নিয়ে বাজারে বেশী দামে বিক্রি করা হয়েছে ।
কাউন্সিলর প্রার্থী মো: জানে আলম খান জনি ৮নং ওয়ার্ডবাসীর কাছে ঘুড়ি মার্কায় ভোট ও দোয়া চেয়ে বলেন, আগামী নির্বাচনে জনগনের ভোটের মাধ্যমে আমি কাউন্সিলর নির্বাচিত হতে চাই। ইনশাআল্লাহ আমার ওয়ার্ডবাসীর আশা ও আস্থা আমাকে আরো সাহসী করেছে। নির্বাচনে যদি আমি জয়লাভ করি তাহলে এই জয় আমার হবে না, এই জয় হবে ৮নং ওয়ার্ডবাসীর।