1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ০৮:০২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
নাচোলে তৃতীয় মাত্রা’র সম্পাদক রবিন সিদ্দিকী’র রোগমুক্তি কামনায় দোয়া  নাচোলে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি বর্ষাকালীন পাগোলি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত বাগমারায় ঘোষণা ছাড়াই মহিলা দলের কমিটি গঠন, সংবাদ সম্মেলনে এক পক্ষের চরম ক্ষোভ গোদাগাড়ীতে বাল্যবিবাহের চেষ্টায় অভিভাবকদের জরিমানা ভোলাহাটে তারেক জিয়া পরিষদ, পাঠাগার গোহালবাড়ী শুভ উদ্বোধন ও ৩১ দফা দাবীর লিফলেট বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা নদী ভাঙ্গনে, দিশেহারা শতাধিক পরিবার রানীশংকৈলে বৃত্তি পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে  কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের মানববন্ধন । চাঁপাইনবাবগঞ্জ ভোলাহাটে  বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা দাবীতে লিফলেট বিতরণ  রাজশাহীতে অনুমোদনহীন বিস্কুট পাউরুটি ও কেক তৈরিতে জরিমানা তানোরে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জাল জব্দ, আগুনে ধ্বংস

রাজশাহীর বাঘায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত, কোথাও আইনের কার্যকারিতা নেই

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৩১ মে, ২০২৩
  • ১৩২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# বিশেষ প্রতিনিধি…………………………………………

বিশ্বজুড়ে ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা ধরে তামাক সেবনের সমস্ত প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকাতে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে প্রতি বছর ৩১ মে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস পালন করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এবারেও দিবসটি পালন করা হয়েছে। বিকল্প খাদ্য উৎপাদন ও বিপণনের সুযোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং টেকসই ও পুষ্টিকর ফসল চাষে তামাক চাষিদের উৎসাহিত করতে এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘গ্রো ফুড, নট টোব্যাকো’। ‘তামাক নয়, খাদ্য ফলান’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে। বাঘাতেও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হয়েছে।

 

জানা যায়,স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে জন সমাগমস্থল ও যানবাহনে প্রকাশ্যে ধুমপাণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। অমান্য কারির শাস্তি হিসাবে ৫০ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ২০০৫ সালে জাতীয় সংসদে ধূমপাণ ও তামাক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আইনটি পাশ হয়। সম্প্রতি ৩০০ টাকা জরিমানার বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ধূমপাণ ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রন) সংশোধিত বিল ২০১৩ পাশ হয়েছে। কিন্তু আইন প্রয়োগকারি সংস্থার সদিচ্ছার অভাবে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার(নিয়ন্ত্রণ) আইনটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি।

 

আইনটি কঠোরভাবে পালনের নির্দেশ থাকলেও তা মানা হচ্ছেনা কোথাও। আইন প্রয়োগ কার্যকরে যথাযথ উদ্যোগ না থাকার কারণে নিষিদ্ধ স্থানে ধুমপাণ চলছেই । প্রচরণার অভাবে অসচেতন ধূমপায়ীদের অনেকেই আইনটি সর্ম্পকে জানেন না। যার ফলে অধিকাংশ ধূমপায়ী আইনটির প্রতি বুড়ো আঙ্গুল দেখাতে সাহস পাচ্ছে।

 

অপরদিকে তামাক জাত পণ্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা হলেও তামাক কোম্পানি গুলো নানা কৌশলে তাদের অবস্থান শক্তিশালী করছে। সরকারি বিধান মতে পাবলিক প্লে¬স এবং পরিবহনে বাংলা ও ইংরেজিতে “ধুমপান হতে বিরত থাকুন, ইহা শাস্তি যোগ্য অপরাধ” এ সংক্রান্ত নোটিশ টানানোর কথা থাকলেও বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেই। তবে পরিবহনে ধুমপানের হার কমছে বলে এমনটাই দাবি করেছেন পরিবহন চালকরা ।

 

বুধবার (৩১ মে) সরেজমিন বাঘা পৌর টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গাড়ীতে উঠার আগে বাস ষ্ঠ্যান্ডে ধুমপাণ করছিলেন অপেক্ষামান দুইজন যাত্রী। পাবলিক প্লে¬সে ধুমপাণের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, গাড়ীতে খেলে অন্যরা বিরক্ত হয়। তাই আগে খেয়ে নিলাম। আইন বিষয়ে তারা বলেন, শুনেছি একটা আইন হয়েছে। তাই কয়েকদিন লুকিয়ে খাইছি। এখন প্রকাশ্যে সবাই খাচ্ছে। কেউ কখনো কিছু বলেনা।

 

ইউনিয়ন পরিষদের নির্র্বাচিত এক জনপ্রতিনিধিকে দেখা গেল,তার হাতে থাকা সিগারেট ফুঁকে যাচ্ছেন। আইন ভঙ্গ করে প্রকাশ্যে ধুমপাণের বিষয় জানতে চাইলে মূল প্রশ্নটি এড়িয়ে সহাস্য তিনি বলেন, অভ্যাস ছাড়তে পারছিনা তাই। ধুমপাণ নিষিদ্ধের আইন সম্পর্কে জানলেও জরিমানার বিষয়টি জানেন না তিনি। পাবলিক প্লেসে ধুমপাণ নিষিদ্ধ হলেও তাদের মত অনেকেই অনায়াসে ও দাম্ভিকতার সাথে ধুমপাণ করছেন।

 

উপজেলার বাস ষ্ট্যান্ড,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিপণী বিতান সহ সবখানেই দাড়িয়ে ধূমাপাণ করছেন অধিকাংশ ধূমপায়িরা । এতে অধূমপায়িরা পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বলতে পারছেনা কিছূই। গাড়ী চালানো অবস্থায় অনেক চালককেও ধূমপাণ করতেও দেখা গেছে । সরকারি-বেসরকারি অফিসেও চলে ধূমপাণ। জরিমানার সুনির্দিষ্ট কোন তথ্যও নেই বাঘা উপজেলায়। জনস্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে ধূমপাণ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন অভিজ্ঞ মহল।

 

শাহদৌলা সরকারি কলেজের প্রভাষক আহম্মেদ বেলাল বলেন, ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রয়োগের বিকল্প নেই’। বিষয়টি আরো স্পষ্ট করে পাবলিক প্লে¬সে ধুমপাণ বিষয়েও সচেতনতা জরুরি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ আশাদুজ্জামান বলেন, জনস্বাস্থ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সাধারণত চিকিৎসকদের নিয়ে কাজ করছেন। তামাকের ক্ষতিকর বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেন। তার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে এ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নত হবে। তাই দেশের সাধারণ মানুষকে রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে।

 

উপজেলা নির্বাহি অফিসার শারমিন আখতার বলেন, আইন পাশ হওযার পরে সীমিত কয়েকেজনের জরিমানা করা হয়েছে। সামনা সামনি পড়লেও জরিমানা করা হয়। তবে আইনটি কার্যকর করতে সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারণাসহ পাবলিক প্লে¬সে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হবে। ইউএনও বলেন,তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের একযোগে কাজ করতে হবে।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট