# নিজস্ব প্রতিবেদক……………………………………..
গ্রামীণ ব্যাংক মানেই আলাদা কিছু। যা কেউ পারেনা গ্রামীণ ব্যাংক তা করে দেখায়। তাইতো বাংলার আটষট্রিহাজার গ্রামেই শোভা পাচ্ছে তার সুরোভিত কার্যক্রম। এমনকি তা শোভা পাচ্ছে পৃথিবীর শতশত দেশেও। দেশের একমাত্র নোবেলজয়ী আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি দাড়িয়ে আছে নানানমুখী সেবাকে বুকে ধারণ করে। ব্যাংকটির প্রতিটি কর্মকর্তা ও কর্মচারী একেকজন লড়াকু সৈনিক। কোথাও বিবেধ নেই, নেই হিংসার ছিটেফোঁটা । আছে ঐক্য,কর্ম আর শৃংখলা। আর ব্যাংকটিকে ধরে রাখার প্রধান খুটি হলো কেন্দ্র। যা বাংলা ও বাঙালির গ্রামে গ্রামে আজ সু-প্রতিষ্ঠিত।
প্রতিটি শাখার ন্যয় গ্রামীণ ব্যাংক বাসুদেবপুর গোদাগাড়ী শাখাতেও আছে কেন্দ্র। যার সংখ্যা ছিয়াত্তরটি। ছিয়াত্তরটি কেন্দ্রের সদস্য সংখ্যা চার সহস্রাধিক। যার নব্বই ভাগই দারিদ্র্য মুক্ত। যা নজিরবিহীন হলেও পুরোটায় সত্য। প্রতিটি কেন্দ্রে গ্রুপ আছে। আছে গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারী ।এই গ্রুপ চেয়ারম্যানের মধ্য হতেই একজনকে কেন্দ্র প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয়। এই কেন্দ্র প্রধানদেরকে গ্রামীণ প্রদীপ হিসেবে আখ্যা দিলে ভুল হবেনা মোটেও। তারা একবছর যাবত কেন্দ্রের সদস্যদের ঋণ প্রস্তাবের সুপারিশ করে কেন্দ্র ও কেন্দ্র এলাকার মানুষের পাশে দাড়ায় শর্তহীন সেবার মানসিকতা নিয়ে। এত সুন্দর পদ্ধতি লক্ষ্য করা যায়না অন্য কোথাও।
কেন্দ্র প্রধানদেরকে নিয়েই গতকাল ২০ মার্চ গ্রামীণ ব্যাংক বাসুদেবপুর গোদাগাড়ী শাখায় অনুষ্ঠিত হলো ত্রৈমাত্রিক কেন্দ্র প্রধান বৈঠক। শাখার ছিয়াত্তরটি কেন্দ্রের ছিয়াত্তরজন কেন্দ্র প্রধানই উপস্থিত ছিলো উক্ত বৈঠকে । বৈঠকটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলো শৃংখলাময়। অত্র কেন্দ্র প্রধান বৈঠক ও আলোচনা সভায় প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ ব্যাংক রাজশাহী যোনের দু:সাহসিক ও আলোকিত নেতৃত্ব, যার ছন্দমালায় রাজশাহী যোন আজ ঝঙ্কারিত। রাজশাহী যোনের যোনাল ম্যানেজার মোঃ আমিনুল ইসলাম। সরেজমিনে লক্ষ্য করা যায় তার অনেক গুনের সমাহার।তিনি যোনাল ম্যানেজার হলেও মিশে গিয়েছিলেন গ্রাম্য পরিবেশের মানুষগুলোর সাথে। ইচ্ছেমতো কেন্দ্র প্রধানরা মতবিনিময় করেছেন তার সাথে।
যোনাল ম্যানেজার মোঃ আমিনুল ইসলাম ছিয়াত্তরজন কেন্দ্র প্রধানের কথাগুলো মনযোগ সহকারে শুনেন মূল্যায়ন করেন এবং কেন্দ্রকে ভালো রাখার সবরকম দিকনির্দেশনা কেন্দ্র প্রধানদের মাঝে বিতরণ করেন। যোনাল ম্যানেজার মোঃ আমিনুল ইসলাম ঋন কার্যক্রমের পাশাপাশি সদস্যদের ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষায় সহযোগিতা,মেধাবীদের বৃত্তির ব্যবস্হা করে সহযোগিতা,ইভজিটিং,যৌতুক প্রতিরোধ, সামাজিক অবক্ষয়,বেশী বেশী গাছ লাগাও কর্মসূচি সহ সোনার দেশের কল্যাণে অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।
উক্ত কেন্দ্র প্রধান বৈঠক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ ব্যাংক চাপাইনবাবগঞ্জ এরিয়ার এরিয়া ম্যানেজার ও হার না মানা তেজোদীপ্ত নেতৃত্ব মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ সরকার। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ ব্যাংক বাসুদেবপুর গোদাগাড়ী শাখার সেকেন্ড অফিসার সুভাষ চন্দ্র সরকার, গ্রামীণ ব্যাংক কর্মচারী সমিতি চাপাইনবাবগঞ্জ এরিয়ার সভাপতি মোঃ নাহিদ কবির নাহিদ ও জাতীয় কবিতা মঞ্চ রাজশাহী জেলা কমিটির সভাপতি, বিশিষ্ট কবি, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী কবি মুকুল হোসেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন অত্র শাখার অফিসার মোঃ রিপন রেজা চোধুরী এবং উক্ত কেন্দ্র প্রধান অনুষ্ঠানে সভাপতির আসন অলংকৃত করেন বাসুদেবপুর গোদাগাড়ী শাখার শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ খন্দকার আব্দুর রহিম।#