তানো প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরের চাঁন্দুড়িয়া ইউপির ফসলি মাঠ থেকে গরুর খাবার ঘাস কেটে বাড়ি ফিরছিলেন জীর্ণ-শীর্ণ কাপড় পরিহিত বয়োজৈষ্ঠ এক নারী।দেওতলা মোড়ে যখন তিনি পৌঁছেন তখন সময় প্রায় দুপুর। গত ১৪ জুন শনিবার (এটা ঈদুল-আযহার দুই দিন আগের ঘটনা) এদিন স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী রাজশাহী শহর থেকে সড়ক যোগে তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়নের (ইউপি) চৌরখৈর গ্রামের পৈতৃক বাড়িতে যাচ্ছিলেন। দেওতলা মোড়ে আশামাত্র বয়োজৈষ্ঠ ওই নারীর দিকে চোখ পড়ে তাকে দেখেই থমকে দাঁড়ায় সাংসদ। এ সময় তিনি গাড়ী থামিয়ে নেমে এসে তাঁর মাথায় হাত বুলিয়ে মা সম্বোধন করে জানতে চান তিনি কেমন আছেন এবং তার সমস্যা কি ? জবাবে ওই নারী জানান, তিনি ভাল আছেন বাড়ির গরু-ছাগলের জন্য ফসলী মাঠ থেকে ঘাস কেটে বাড়ি ফিরছেন। এসময় এমপি ফারুক চৌধুরী তার গাড়ী থেকে শুকনো খাবার, মাস্ক ও কিছু নগদ অর্থ ওই নারীর হাতে তুলে দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দেশবাসীর জন্য দোয়া করার আহবান জানান।
একজন এমপির এমন সৌহার্দপূর্ণ আচরণে মুগ্ধ হন ওই নারীসহ সেখানে উপস্থিত সাধারণ মানুষ। এদিন যাত্রা পথে চাঁন্দুড়িয়া ইউপি থেকে কলমা ইউপি পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার রাস্তার মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও খাবার বিতরণ করেন সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বয়োজ্যেষ্ঠ ওই নারী জানান, এমপি সাহেব অনেক ভালো মানুষ। তিনি আসলেই যে গরীব মানুষের খোঁজ খবর নেন বা গরীবের এমপি তার প্রমাণ পেলাম। আমরা এমন এমপিকেই আমাদের পাশে চাই। যিনি বিপদে-আপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন। নেবেন গরীবের খোঁজ খবর। একেবারে প্রত্যন্ত পল্লীর ঘাঁমে-ভেঁজা-পা-ফাটা কৃষক কিংবা শহরের রিক্সাচালক যে কেউ খুব সহজেই ফারুক ভাই সম্বোধন করে তার কাছে যেতে পারে বলতে পারে যে কোনো সমস্যার কথা।
এমপি ফারুক চৌধুরী কর্মী-জনবান্ধব এই রাজনৈতিক নেতাকে গরীবের এমপি বলা হয়।জমিদার পরিবারের সন্তান হয়েও তার মধ্য নেই কোনো অহংকার জীবনযাপনেও অনেকটা সাদাসিধে নেই কোনো জড়তা স্পস্টবাদী ও কৌতুক প্রিয় এই নেতা যেকোনো অনুষ্ঠান বা রাজনৈতিক কর্মসুচি যেখানেই যায় সেখানেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে সহজেই মিশে হয়ে উঠে তাদেরই একজন। আর তাইতো তাকে গরীবের এমপি বলা হয়।
বাংলাদেশের গতানুগতিক রাজনীতিতে যা অনেকটা বিরল। কারণ এখানো যেখানে অধিকাংশ মেয়র বা ইউপি চেয়ারম্যানের সাক্ষাত পেতে সাধারণ মানুষকে তাদের মুরিদ ধরে আসতে হয় সেখানে এমপি ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে সরাসরি যেকোনো মানুষ যেকোনো সময় যেকোনো কথা বলতে পারেন।এছাড়াও অন্যরা যখন ঢাকায় বা শহরে অবস্থান করতে পচ্ছন্দ করেন, তখন এমপি ফারুক চৌধুরী নির্বাচনী এলাকায় থাকতেই স্বাচ্ছন্দবোধ করেন।এসব বিবেচনায় যে যতো বড় বগী আওয়াজ দিক এখানে এমপি ফারুক চৌধুরীর কোনো বিকল্প নাই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দলের ভিতর এবং বাইরের নানা ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার, প্রতিহিংসা ও গুজবের বহু অন্ধকার গলিতেও তিনি পথ হারাননি এবং গতানুগতিক রাজনীতির স্রোতে গা ভাসিয়ে দেননি।নিজস্ব, স্বকীয়তা ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন অমায়িক ব্যবহার ও প্রচণ্ড সাহসী নেতৃত্বের লৌহমানব এই মানুষটি ছাত্র রাজনীতির সীমানা অতিক্রম করে ধীরে ধীরে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার পুরুষে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার প্রতি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার যে বহিঃপ্রকাশ তাতে তিনি না চাইলেও তানোর-গোদাগাড়ীর মানুষ তাকেই তাদের নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছে। এখানে তার কোনো বিকল্প নেই। কারণ সাধারণ মানুষের নিখাদ ভালবাসার চেয়ে বড় কোন শক্তি নেই। #