মেহেরুল ইসলাম মোহন, লালপুর-নাটোর…………………………………………………………
নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের জোতগৌরী এলাকায় পরকীয়া প্রেমের জের ধরে গৃহবধূর উপর হামলা,৪ জনের বিরুদ্ধে লালপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার(২রা মার্চ-২৪)সকালে জোতগৌরী এলাকার আঃ আলীম এর স্ত্রী রেশমা বেগম বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে লালপুর থানায় এই অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।
অভিযুক্তরা হলেন জোতগৌরী এলাকার পাশ্ববর্তী গ্রাম গন্ডবিল এলাকার আকবর আলীর ছেলে মাহাবুর রহমান(৪০),আকবর আলীর স্ত্রী রমেজা বেগম(৫৮),মাহাবুরের স্ত্রী সাগরী বেগম(৩৮) ও জোতগৌরী এলাকার মৃত অজিত কুমারের ছেলে শিবেন কুমার।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধূ রেশমা বেগম সংবাদ কর্মীদের জানায়,বিবাদী শিবেনের সহযোগিতায় মাহাবুর আমাকে দীর্ঘ দিন যাবত পরকীয়াতে আকৃষ্ট করার চেষ্টায় বিভিন্ন ভাবে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে।যার প্রেক্ষিতে আমার স্বামী আমাকে একবার তালাক ও দেয়। পরে গত ৬ মাস আগে আমার স্বামীর সাথে পুনরায় আবার বিয়ে হয়।বিয়ের পরে পুনরায় সেই শিবেনের সহযোগিতায় আবারও মাহাবুর আমাকে কু-প্রস্তাব দিতে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় আমি শনিবার সকাল আনুমানিক ৭ টার দিকে আমার বাড়ির আঙ্গিনায় সংসারের কাজ করতে থাকলে মাহাবুর আমাকে কু-প্রস্তাব দেয় আমি তখন তার প্রস্তাবে রাজি না হলে আমার ওড়না নিয়ে টানা- হেচরা করে আমার শ্লীলতাহানি করা সহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।এ সময় তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তার মা,ও বউ এসে আমাকে এলোপাথাড়ি ভবে মারধর করে শরীরে ছিলাফোলা ও কালোশিরা জখম করে সেই সাথে আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও কানে থাকা স্বর্ণের দুল জোর পূর্বক খুলে নেয়।এ সময় আমি ডাক চিৎকার করলে আমার শ্বশুর এগিয়ে এলে তাঁকে মারপিট করে আহত করে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
পরবর্তীতে আমি ও আমার শ্বশুর স্থানীয়দের সহযোগিতায় লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এ বিষয়ে বিবাদী মাহাবুর,রমেজা ও সাগরী কোন কিছু বলতে চাননি,তবে বিবাদী শিবেন কুমার বলেন এ বিষয়ে আমি কোন কিছুই জানিনা। এ বিষয়ে লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি নাছিম আহমেদ জানান,অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।#