সোহানুল হক পারভেজ রাজশাহী………………………………………………………
রাজশাহীর তানোরের বহুল আলোচিত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ এবার তদ্বিরের মাধ্যমে তার (স্ট্যন্ড রিলিজ) বদলী আদেশ রোহিত করে ফের আলোচনায় উঠে এসেছে। তদবিরে তকদির মিলে সমাজে যুগের পর যুগ ধরে চলে আশা সেই প্রবাদ বাক্যকে সত্য বলে প্রমাণ করলেন কৃষি কর্মকর্তা তার বদলী আদেশ রোহিত করে।
এদিকে তার স্ট্যান্ড রিলিজ রোহিত করার খবরে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কৃষকদের মাঝে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
সুত্র জানায়, সম্প্রতি উপজেলার আলোচিত কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদকে (স্ট্যান্ড রিলিজ) বদলী করা হয়েছিল। কিন্ত্ত সেখানে কৃষি কর্মকর্তার জন্য কোনো গাড়ী নেই এবং তানোরের মতো সুযোগ-সুবিধা নেই। যে কারণে তিনি সেখানে যেতে অসম্মতি প্রকাশ করে বদলী আদেশ ঠেকাতে তৎপর হয়ে উঠেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাঠকর্মী বলেন, তিনি বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয়ে তদ্বির করে বদলী আদেশ ঠেকাতে সমর্থন হয়েছেন। এসব অর্থের যোগান দিতে উপজেলার সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে আনুপাতিক হারে অর্থ আদায় করা হয়েছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে।
অন্যদিকে তার বদলী আদেশ ঠেকানো নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে তার খুঁটির জোর কোথায় সেটা নিয়েও পাশাপাশি বইছে মূখরোচক নানা গুঞ্জন।
এদিকে আলোচিত এই কৃষি কর্মকর্তার বদলী আদেশ ঠেকানোর খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলার কৃষক সমাজ ও সার-কীটনাশক ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। উপজেলার কৃষকেরা সরেজমিন অনুসন্ধান করে এই কৃষি কর্মকর্তার বদলী আদেশ পুনর্বহালের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কৃষি অফিসের এক মাঠকর্মী বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অন্য উপজেলায় বদলী করা হয় তবে তিনি বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বদলী আদেশ রোহিত করেন। তিনি বলেন, স্ট্যান্ড রিলিজের আদেশ যদি স্থগিত হয় তাহলে সেই দপ্তরে শৃঙ্খলা বলে আর কিছু থাকে না। এটা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জন্যও লজ্জার।
এ বিষয়ে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে বদলী বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।#