সবুজনগর প্রতিবেদন…………………………………………………
আগামীকাল পবিত্র ঈদূল আযহা বা কুরবাণীর ঈদ। মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আযহা। মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.) কে কোরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর প্রতি অবিচল আনুগত্য, অকুণ্ঠ আত্মত্যাগ ও অগাধ ভালোবাসার যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা চিরকাল অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। তাঁরই নিদর্শন স্বরুপ আমরা প্রতি বছর আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু কোরবানী করি। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে সামর্থ্যবান মুসলমানগণ কুরবানিকৃত পশুর মাংস আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বিলিয়ে দেন এবং সমাজে সাম্যের বাণী প্রতিষ্ঠিত করেন।
বাংলাদেশের সকল এলাকায়ে একই দিনে ঈদ উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষ্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরশন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।রাজশাহী সিটিকে সাজানো হচ্ছে আলোক সজ্জা করে।এছাড়া রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেল, বাংলাদেশ রেশম বোর্ড, রাজশাহী কুষি উন্নয়ন ব্যাংক,রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডসহ প্রায় সকল সরকারি, বেসরকারি, শায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, ব্যাং, বীমা, হাসপাতাল ও জেলখানাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো আরোক সজ্জায় সজ্জিত করা হচ্ছে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন সড়ক আলোকায়িত করা হচ্ছে।গোটা শহরকে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা করার কাজ চলছে। সড়কের প্রায় স্ট্যান্ডগুলোতে জাতীয় পতাকা, সিটি কর্পোরেশনের পতাকাসহ বিভিন্ন রং বেরঙের পাতাকা দিয়ে সাজানো হচ্ছে। করবাণীর পর দ্রুত ময়লা আবর্জনা অপসারণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ঈদ সবার জন্য আনন্দের হয় সেজন্য রাজশাহী মহানগরীসহ সকল এলাকায় আইন শৃংখলা জোরদার করা হয়েছে। যে সকল মুসল্লরিা নিজ নিজ বাড়িতে ঈদ করতে নিরাপদে আসতে পারে সেজন্য পুলিশ ও র্যাব নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।
ঈদ উদযাপন উপলক্ষ্যে আগামীকাল সুবিধামত সময়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগা, শিশু সদন ভবঘুরে,বৃদ্ধাশ্রম ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।
ঈদের নামাজ শেষে বিশ্ব উম্মার সুখ শান্তি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হবে।#