# নাজিম হাসান............................................................
চাষবাদে এখন আর লাঙ্গল- মইয়ের ব্যবহার নেই বললেই চলে। এসেছে কলের লাঙ্গল ট্রাকটর যা দিয়ে লাঙ্গল-মইয়ের কাজ একি সাথে করা যায়। কৃষিতে এসেছে চোখ ধাঁধানো আরো আধুনিকতা। তারপরও মইয়ের কদর কমেনি। একদা চাষাবাদে লাঙ্গলের পরই ব্যবহার হত মই। তখন গ্রামাঞ্চলের অনেক কাঠমিস্ত্রী মই তৈরি করতেন পাশপাশি অন্য জিনিসও। এখন যুগ পাল্টেছে। চাষাবাদে মইয়ের ব্যবহার না থাকলেও অনুসাঙ্গিক কাজে মইয়ের ব্যবহার রয়েছে ।
চাহিদা থেকেই চল্লিশ বছর ধরে মই তৈরি করছেন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের শীতলাই গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদ(৭৫)। ছোট বড় মাঝারী সব সাইজের মই তিনি তৈরি করেন যার দাম ৫শ থেকে দেড় হাজারের মধ্যে। তবে বেশি বড় মই তৈরি করে নিতে চাইলে অর্ডার দিতে হয়। তার দামও বেশি পড়ে।
ভুমিহীন আব্দুল ওয়াহেদ চার দশক ধরে মই তৈরি করেন। এলাকায় তিনি মই ওয়াহেদ নামে পরিচিত। এই দীর্ঘ সময় ধরে মই তৈরি করলেও এর সাথে রয়েছে তার বিশেষ স্মৃতি। যৌবনে দিন মজুর ছিলেন আব্দুল ওয়াহেদ। ঘরে টিনের ছাউনি বা খড়ের ছাউনির কাজ করতেন। ওই সমস্ত কাজে মইয়ের ব্যবহার ছিল ব্যাপক। হটাৎ একদিন মই ভেঙ্গে পড়ে যান তিনি। এতে মাজায় প্রচÐ আঘাত পান। পরে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে দিন মজুরী ছেড়ে শুরু করে মই তৈরির কাজ। এভাবেই কেটে যায় চল্লিশ বছর।
আব্দুল ওয়াহেদ পাকা বাঁশ দিয়ে মই তৈরি করেন। যা সহসা ঘুণ ধরে না-টেকে বহুদিন। স্থানীয় প্রতি হাটে ৫/৬ টি মই বিক্রি করেন । মই প্রতি ৩ থেকে ৪শ টাকা লাভ টিকে। এতেই ভাল মত দিন চলে যায়।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রোকনুজ্জামান রোকন নির্বাহী সম্পাদক: ইফতেখার আলম সম্পাদক কর্তৃক উত্তর নওদাপাড়া, পো: সপুরা, রাজশাহী-৬২০৩ থেকে প্রকাশিত। মোবাইল: ০১৭১১-২০৮ ১৭২, ০১৮৩৪-৮৬১ ০০৭ ইমেইল: [email protected]
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ নগর