1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
বিএনপি ক্ষমতায় এলে পদ্মায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ হবেঃ বেলাল ই বাকী ইদ্রিশী রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাব নির্বাচনে উৎসবের আমেজ, শুরু হলো মনোনয়ন ফরম উত্তোলন বিনা সুদে ঋণ, বিনা মূল্যে শিক্ষা; শ্রমিকবান্ধব রাষ্ট্র গড়ার অঙ্গীকার জামায়াতের ধোবাউড়ায় পারিবারিক কলহে স্বামী খুন, স্ত্রী রাজিয়া আটক   গোদাগাড়ীতে বিসিডিএস নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ রূপসায় প্রিমিয়ার ফুটবল লীগের ২য় খেলা অনুষ্ঠিত রূপসায় বিএনপি নেতা পারভেজ মল্লিকের পক্ষ থেকে ইমাম ও মোয়াজ্জেমদের পাঞ্জাবি বিতরণ মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার রাজনীতি বিএনপির প্রেরণাঃ বাঘায় বিএনপি নেতা মামুন সারিয়াকান্দিতে জাসাসের উদ্যোগে ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে শ্যামনগরে জামায়াতের বুথভিত্তিক এজেন্ট সম্মেলন

স্বতন্ত্র ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’ গঠনের সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাসমাশিস

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১০১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

৥ মোঃ মিজানুর রহমান নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা: শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) খুলনা জিলা স্কুলের শিক্ষক মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাটি বাসমাশিসের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক ও স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির মুখপাত্র এবং অঞ্চল কমিটির সদস্য সচিব মো. ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

সভাপতিত্ব করেন খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক ও স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও এন্ট্রি পদ নবম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের আহবায়ক মো. কামরুজ্জামান। মতবিনিময় সভায় মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও এন্ট্রি পদে ৯ম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, খুলনা অঞ্চল, খুলনার উপপরিচালক মো.কামরুজ্জামান বলেন- সরকার স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এটা লক্ষ লক্ষ শিক্ষক, কোটি কোটি শিক্ষার্থী, কোটি অভিভাবকসহ দেশের সচেতন মহলের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। যা মাধ্যমিকের ইতিহাসে এক মাইল ফলক হয়ে থাকবে।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ লুৎফর রহমান, খুলনা জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইদুর রহমান, খুলনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফারুকুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল খায়ের, কুষ্টিয়া জেলা শিক্ষক অফিসার আবু তৈয়ব মোঃ ইউনুস আলী, মেহেরপুরের জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুর রহিম, বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন, শিক্ষক নেতা গাজী আজিজুর রহমান, রেজাউল করিম, মলয় কান্তি গাইন প্রমূখ।

তাঁরা বলেন,2022 সালে সারাদেশে জনমত গঠনের লক্ষ্যে খুলনা অঞ্চল বাস মাসের সভাপতি মমতাজ খাতুন আপার পরামর্শে এবং দিকনির্দেশনায় শিক্ষকদের মাঝে জনমত গঠনের জন্য বিভিন্ন জেলা শিক্ষকদের নিয়ে সমাবেশ করা হয়। সে সময়ে একাধিক অনলাইন মিটিং করে সারাদেশকে আলাদা অধিদপ্তরের পক্ষে সোচ্চার হতে আহবান করা হয়। “সরকারের এই সময়োপযোগী ও দূরদর্শী পদক্ষেপ মাধ্যমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নির্মাণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি প্রশাসনিক কাঠামোকে আরও সুসংগঠিত ও দক্ষ করে তুলবে।” বাসমাশিসের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক ও স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির মুখপাত্র এবং অঞ্চল কমিটির সদস্য সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন – অধিদপ্তরের আন্দোলন একদিনে গড়ে ওঠেনি।

২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বাস্তবায়নের দাবিতে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে একই বছরের মার্চে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এ বিষয়ের যৌক্তিকতা তুলে ধরে কলাম লিখে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ জনম গড়ে তোলেন এবং সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ৫ আগস্ট এর পদ পরিবর্তনের পর অন্তর্ভুক্তির সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডঃ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্যারের সঙ্গে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ দেখা করলে তিনি অধিদপ্তর আলাদা করার ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেন। পরবর্তী সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে একটি জাতীয় কর্মশালার আয়োজন করে। গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত সচিব সভায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিলে, সেই ধারাবাহিকতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে অধিদপ্তর আলাদা করার প্রস্তাবনা পাঠালে প্রধান উপদেষ্টা তাতে সম্মতি দেন।

সর্বশেষ গত ১২ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ দুটি পৃথক অধিদপ্তর—‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’ ও ‘কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর’ এর অর্গানোগ্রাম চেয়ে একটি চিঠি ইস্যু করে। চিঠিতে ৩০ কার্য দিবস এর মধ্যে অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন কমিটিকে দুটি পৃথক অর্গানোগ্রাম জমা দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেয়। আশা করি স্বল্প সময়ের ব্যবধানে অধিদপ্তরের গেজেট জারি হবে। তিনি বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (সিইডিপি) কর্তৃক সকল অংশীজনকে নিয়ে আয়োজিত Impact Analysis on Education Governance and Management শীর্ষক জাতীয় কর্মশালা এবং প্রাপ্ত সুপারিশের ভিত্তিতে ‘বিয়াম ফাউন্ডেশন গবেষণা ও পরামর্শ সেবা কেন্দ্র’ (বিএফআরসিএসসি) এর প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনে শিক্ষা প্রশাসন ব্যবস্থাপনার বর্তমান কাঠামোর পরিবর্তে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’ এবং ‘উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা অধিদপ্তর’ হিসেবে দুটি পৃথক অধিদপ্তর সৃজনের পরামর্শ প্রদান করা হয়।

তিনি আরও বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের জানুয়ারি ২০২৫-এর প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শিক্ষা সার্ভিসের সংস্কারের জন্য প্রস্তাবিত বিশেষ সুপারিশের আলোকে, সর্বোপরি মাধ্যমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’ এবং ‘কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর’—এই দুটি অধিদপ্তরে বিভক্ত করার প্রস্তাব করা হয়। এইসব রিপোর্ট ও সুপারিশের আলোকে ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’ এবং ‘কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর’ গঠনের পদক্ষেপের জন্য শিক্ষক সমাজ মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (বাসমাশিস) ও স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও এন্ট্রি পদ নবম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ।#

 

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট