নাজিম হাসান,রাজশাহী ………………………………………………….
সৌদি আরবের দাম্মামে ফার্নিচারের কারখানায় আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার পর সৌদি আরব থেকে রাজশাহীর বাগমারার চারজনের লাশ আনা হয়েছে। সরকারি খরচে ও প্রচেষ্টায় তাদের লাশ দেশে পৌঁছেছে। তবে লাশের সঙ্গে কোনো কিছু দেওয়া হয়নি। এর আগে গত ১৪ জুলাই অগ্নিকাÐের ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পরে তাদের মরদেহ হুফুফ কিং ফাহাদ মর্গে রাখা ছিল। গতকার বুধবার লাশ গুলো গ্রামের বাড়িতে নিয়ে এসে দাফন সর্ম্পন করা হয়েছে।
এসময় নিহতের স্বজনেরা জানান, গতকাল বুধবার ভোরে (৩.৫০) তাদের লাশ সৌদি আরব থেকে ঢাকার শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশগুলো পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ গ্রামে নিয়ে আসা হয়। মৃতরা হলেন, বাগমারা উপজেলার বারইপাড়ার জফির উদ্দিনের ছেলে রুবেল হোসাইন, একই এলাকার জমিরের ছেলে মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম, শাহাদাত হোসাইনের ছেলে মো. আরিফ, বাগমারার বড় মাধাইমুরির আনিসুর রহমান সরদারের ছেলে ফিরুজ আলী সরদার।
এর আগে লাশ গুলো দেশে আনার আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় নিহতদের পরিবারের সদস্যরা সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। এর প্রেক্ষিতে গত ১৬ জুলাই রাজশাহী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর সরকারি খরচে লাশ দেশে আনার জন্য আবেদন করেন বলে জানান বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফ এম আবু সুফিয়ান। এর প্রেক্ষিতে সরকারি ভাবে লাশ দেশে এনে পরিবারের কাছে পৌঁছানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে মোতাবেক লাশ চারটি দেশে এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
লাশের সঙ্গে থাকা নিহত রুবেল হোসাইনের বড় ভাই জাবেদ আলী শেখ জানান, বুধবার ভোওে তাদের কাছে লাশের কফিন হস্তান্তর করা হয়েছে। ভাড়া করা গাড়িতে করে লাশ দাফনের জন্য গ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে।
এদিকে,বিকাল ৩ টা থেকে সাড়ে ৩টার দিকে লাশ গুলো দাফন সর্ম্পন করা হয়েছে। মৃতদের পরিবারের লোকজন জানানন, লাশের সঙ্গে কোনো মালামাল দেওয়া হয়নি। তাঁদের সৌদি আরবে যেসব মালামাল ছিল তা লাশের সঙ্গে আসেনি। শুধুমাত্র কফিন এসেছে। লাশ দাফনের জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৩৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে তাদেরকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য,গত ১৪ জুলাই সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ হতে ৩৫০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত হুফুফ শহরের আলআহসা ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল সিটি (সানাইয়া জাদিদ) এলাকার একটি সোফা কারখানায় অগ্নি দুর্ঘটনায় এই চারজনের মৃত্যু হয়।#