মোঃ নাসিম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ( বিজিবি'র ৫৯) এর অধিনায়ক লে: কর্নেল গোলাম কিবরিয়ার নির্দেশনা ও অভিপ্রায় অনুযায়ী সীমান্তে চোরাচালান দমন, নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ এবং চোরাকারবারী,দুষ্কৃতকারী কর্তৃক অবৈধ সীমান্ত পারাপার প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স হিসেবে মহানন্দা ব্যাটালিয়ন (৫৯ বিজিবি) সর্বদা দায়িত্ব পালন করে আসছে। এই ব্যাটালিয়নের সৈনিকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিগত যে কোন সময়ের তুলনায় চোরাচালান অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে।
বিজিবি সদস্যদের এহেন তৎপরতার কারনে সীমান্তবর্তী চোরাকারবারী এবং স্থানীয় অসাধু ব্যবসায়ীরা পূর্বের ন্যায় অবাধে চোরাচালানী কর্মকান্ড পরিচালনা করতে না পারায় বর্তমানে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে বিজিবি’র বিরুদ্ধে নানামুখী অপপ্রচার, সংবাদ সম্মেলন, মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে। যাতে করে বিজিবি সদস্যদের মনোবল দূর্বল করার মাধ্যমে তারা তাদের চোরাচালানী কর্মকান্ড পূর্বের ন্যায় চালিয়ে সক্ষম হয়। তাদের এহেন কার্যকলাপ উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত এবং বিজিবি’র ন্যায় ঐতিহ্যবাহী সু-শৃঙ্খল এই বাহিনীর সম্মান হানির সুস্পষ্ট অপচেষ্টা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিজিবি সর্বদা দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিবেদিত হয়ে তাদের অর্পিত দায়িত্ব অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে পালন করে আসছে। চলতি বছরের জানুয়ারি ২০২৫ মাসে বিএসএফ কর্তৃক অবৈধ তারকাটা স্থাপন এবং ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক বাংলাদেশী গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনার প্রেক্ষিতে মহানন্দা ব্যাটালিয়নের (৫৯ বিজিবি) সদস্যরা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কৃষকসহ আপামর জনসাধারণকে সাথে নিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিল, যা আজও দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেশপ্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
"চ্যালেঞ্জ ও সফলতা " মহানন্দা ব্যাটালিয়ন (৫৯ বিজিবি) সীমান্তে কঠোর অবস্থানে থাকায় বিগত ০৩ বছরে ২৯১ জন আসামীসহ সর্বমোট ১০৭,২৫,৬৩,৯৯৬.০০ (একশত সাত কোটি পঁচিশ লক্ষ তেষট্টি হাজার নয়শত ছিয়ানব্বই) টাকার বিভিন্ন চোরাচালানী পণ্য আটক করেছে, যার মধ্যে ৩,৩২৪ টি অবৈধ ভারতীয় চোরাই মোবাইল ফোন রয়েছে। সরকার কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব হিসেবে সার্বিকভাবে চোরাচালানের বিরুদ্ধে বিজিবি’র জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রয়েছে, যা ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে বলে মনে করেন সুশীল সমাজের জনতা ।
নাম না বলা শর্তে ঘরিয়া এলাকার একজন বলেন এ ব্যাপারে সকল প্রকার অপপ্রচার রোধে বিজিবি’র পাশে থাকতে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের সহযোগিতা করা প্রয়োজন । চাঁপাইনবাবগঞ্জে , সীমান্তে মোতায়েন করা জনবলের সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য প্রযুক্তি সমন্বয় ঘটানো হয়েছে। যার ফলে অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে সক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত যে নিরাপত্তা পরিস্থিতি তা স্থিতিশীল এবং গত কয়েক বছর ধরে বিবৃতকর কোন ঘটনা ঘটেনি।
“ভূ-প্রাকৃতিকভাবে সীমান্ত গুলো অত্যন্ত দুর্গম। এখানে যে কোন নিরাপত্তা বাহিনী বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর অর্পিত দায়িত্ব করতে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রাতের অন্ধকার ও চরম প্রতিকূল আবহাওয়াকে মানিয়ে নিতে হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চল চোরাচালানপ্রবন এলাকা। যেখানে অপরাধের বহুমাত্রিক রূপ দেখা যায়। তাই প্রতিটি বিষয় আলাদাভাবে নিয়ে বিজিবিকে মোকাবিলা করতে হয়।
৫৯বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের প্রধানের বিচক্ষণতায় প্রযুক্তির সমন্বয়ে দৃঢ়তার সঙ্গে বলা যায়, যেকোন প্রকার অপরাধমূলক কর্মকান্ড দমনে বিজিবি শতভাগ সফল ভাবে কাজ করছে । প্রযুক্তির সমন্বয়ে ৫৯বিজিবি এখন অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী।” চাঁপাইনবাবগঞ্জে দৃঢ়তার সাথে সীমান্ত সুরক্ষায় দায়িত্ব পালন করছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি’র ৫৯ ব্যাটালিয়ন।#