# শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ রবিবার বিকেল দুপুর ১২টায় গণসংহতি আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা ও শ্যামনগর উপজেলা গণসংহতি আন্দোলনের আয়োজনে সাতক্ষীরা জেলা গণসংহতি আন্দোলনের অফিসে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সীমানা পুন:র্নির্ধারণের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন করে।
গণসংহতি আন্দোলনের সাতক্ষীরা জেলা সংগঠক মোঃ আলফাত হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের নেতা আবুল হোসেন, মো. সোহেল রানা,মোঃ আলমগীর হোসেন, শহীদ হাসান, ফজেরালী ও আবু হাসান,মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসে সারা দেশে ৩৯টি আসনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ প্রক্রিয়ার আওতায় সাতক্ষীরার ১০৭ নম্বর আসন (সাতক্ষীরা-৪) হিসেবে শ্যামনগর ও আশাশুনি দুটি ভিন্ন উপজেলা নিয়ে একটি সংসদীয় আসন গঠন করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে, শ্যামনগর বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা আয়তনের দিক থেকে, এবং এটি সুন্দরবনের একেবারে সন্নিকটে অবস্থিত।
অপরদিকে, আশাশুনি উপজেলা ভৌগোলিকভাবে শ্যামনগর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন। এ দুই উপজেলার মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি করে শুধু শ্যামনগরের গাবুরা ও পদ্মপুকুর ইউনিয়ন, যা খোলপেটুয়া নদী দ্বারা বিভক্ত এবং যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম খেয়ানৌকা। আশাশুনি ও শ্যামনগরের মাঝে কোনও কার্যকর সড়ক সংযোগ নেই। বরং আশাশুনির উত্তরের সীমান্ত গিয়ে মিশেছে তালা, পাইকগাছা ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সঙ্গে, যার একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তের দূরত্ব প্রায় ৬০-৭০ কিলোমিটার। ফলে দুটি ভিন্ন ভৌগোলিক ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন উপজেলা নিয়ে একটি সংসদীয় আসন ঘোষণা জনসাধারণের জন্য ভোগান্তি ডেকে আনবে উল্লেখ করে সাংবাদিক সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের এ পুনর্বিন্যাস বাতিলের দাবি জানান।#