1. admin@sobujnagar.com : admin :
  2. sobujnoger@gmail.com : Rokon :
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
ডুমুরিয়ায় হুফ্ফজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত তানোরে আলুর বীজ নিয়ে মহা সিন্ডিকেট দিশেহারা চাষীরা! খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়  বাগমারার হাটগাঙ্গোপাড়া মডেল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন বাংলাদেশ জার্নালিস্ট প্রটেক্ট কমিটির সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য অ্যাডভোকেসি কর্মশালা  সিংড়ায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত বটিয়াঘাটা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন কম্পিউটার কী বোর্ডের মাধ্যমে রাজশাহীতে পাহাড়িয়াদের মাতৃভাষার লিখন পঠন কার্যক্রম উদ্বোধন সিংড়ায় মাদরাসা দারুস সুন্নাহ বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ সি ইউ সি সংগঠনের সামাজিক কর্মকান্ডে অবদান রাখায়  রোটারিয়ান ইফতেখার আলী বাবুকে সংবর্ধনা

সাতক্ষীরার শ্যামনগর সিমান্তে মাদক বিকক্রেতা কৈখালীর মোনাজাত ও রাতুলের তৎপর বৃদ্ধি, প্রতিবাদীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১৪৩ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

শ্যামনগর, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি………………………………………….

শ্যামনগরে ভারত সিমান্তবর্তী কৈখালী ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত মাদক পাচার হয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে স্পালাই দিয়ে থাকে এজেন্টর মাধ্যমে। এ মাদক পাচাারের সাথে জড়িত মূল হতা নামে পরিচিত মাদক সম্রাট মোনাজাত ও রাতুল।

শ্যামনগর উপজেলার ভারত সিমান্তবর্তী কৈখালি ইউনিয়নের শৈলখালী গ্রামের আরশাদ আলী বরকন্দাজের ছেলে মোনাজাত একজন চিহ্নিত চোরাকারবারি ও মাদক ব্যবসায়ী। ইতো পূর্বে বিভিন্ন প্রশাসনের হাতে মাদকসহ কয়েক বার ধরা পড়লেও জামিনে বের হয়ে আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। একসময় মাদক ব্যাবসায়ী মোনাজাত বিভিন্ন প্রশাসনের চাপে বেশ কিছু দিন ভারতে আত্মগোপনে ছিলেন । সম্প্রতি সময় ভারত থেকে ফিরে এসে মোনাজাত কৈখালী ইউনিয়নকে মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তুলছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। মাদক কেনা বেচার জন্য ৭ থেকে ৮ জন এজেন্ট নিয়োগ করে দেদারসে মাদক বেচাকেনা শুরু করেছে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়,  এরা কমিশনে চুক্তিতে মোনাজাতের মাদক সাপ্লাই করছে। এদের মধ্যে একই গ্রামের মোহাম্মদ আলী গাজীর দুই জামাই রাহাতুল ও আব্দুল আলিম , একই গ্রামের করিম গাজীর ছেলে হাসান, মাজেদ মল্লিকের ছেলে গফফার মল্লিক , মল্লিক পাড়ার নজরুল পাড়ের ছেলে আশিক সহ বেশ কিছু যুবককে দিয়ে মোনাজাত মাদক বিক্রয় কার্যক্রম চালাচ্ছে। সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পযন্ত বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মাদকাসক্ত বিভিন্ন বয়স বিশেষ করে উঠতি বয়সে স্কুল পড়ুয়া যুবকরা মটর সাইকেল যোগে এসে তারা এদের থেকে মাদক ক্রয় করে। এদের সবার নির্দিষ্ট এক এক রুটে এক একজনের দায়িত্ব। মাদক বিক্রি করে , আশিক মল্লিক পাড়া থেকে মাদক সাপ্লাই দেয়, আজিজ মাস্টার মোড় হতে জলিল হুজুরের বাড়ি পযন্ত রাহাতুলের এবং আব্দুল আলিমের দায়িত্ব শামসুরের বাড়ি হতে গফফারের বাড়ি পর্যন্ত গফফারের দায়িত্ব, সহিদুলির দোকান থেকে ডবল আজিবারের বাড়ি পর্যন্ত হাসানের দায়িত্ব এভাবে যাদা বাজার টু কালিন্দী নদীর পাড় হয়ে পূজা মন্দির এবং কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদ টু কারিকর পাড়া হয়ে মল্লিক পাড়া রাস্তার উপরে ওপেন মাদক বেচা বিক্রি করছে মোনাজতের এজেন্ডরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক ব্যক্তির কাছে মাদকের দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন ভারতীয় বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ, গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা পাওয়া যায়। এক একটার দাম এক রকম, বড় মদের বোতল, নাম্বার ওয়াড, রয়েল স্টার ২৫শ’ টাকা, মিউজিক মোমেন্ট ৩৫ শ’ ছোট বোতল -৭/৮ শ’ টাকা, ফেনসিডিল প্রতি পিচ ভালোটা ১৭/১৮শ’ টাকা, মিডিয়াম টা, ১২/১৪শ’ টাকা, প্রতিপিচ ইয়াবা -২০০-২৫০ টাকা, প্রতি কেজি গাঁজা ৩০/৩৫ হাজার টাকা (পাইকারি), খুচরা নিলে ১০০ গ্রাম গাঁজার দাম ৪ হাজার টাকা এই সব মাদকের মুল মালিক মোনাজাত। মোনাজাত বিভিন্ন ব্যক্তিদের দিয়ে হাজারে ২০০ টাকা কমিশনে মাল বিক্রয় করায়।

এই বিষয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, আমরা পরিবার ও জীবনের ভয়ে কোন রকম মুখ খুলতে পারতেছি না। কোন কিছু বললেই তারা সঙ্গবদ্ধভাবে এসে হত্যা খুন যখমসহ বাড়িতে মাদক রেখে থানা পুলিশ দিয়ে আমাদের নামে উল্টো মাদক মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। সত্যি সত্যি মাঝে মধ্যে দেখি বিভিন্ন প্রশাসনের লোকের সাথে তাদের খুব ভালো সম্পর্ক । যার ভয়ে আমরা কিছু বলতে পারছি না।

এক ব্যক্তি হাওমাও করে কান্নাকাটি শুরু করে বলেন, আমাদের এলাকায় বর্তমান ৭০/৮০% যুবকেরা মাদকাসক্ত, এর মধ্যে আমার স্কুল পড়ুয়া ছেলে একজন মাঝে মধ্যে আমার ছেলে আমার এবং আমার স্ত্রীর উপরে ব্যাপক খারাপ আচরণ করে মাদক সেবনের টাকার জন্য। এর আগে এমন কর্মকাণ্ড আমি দেখিনি এখন হাতের নাগালে মাদক পেয়ে অল্প বয়সী যুবকরা মাদকাসক্ত হয়ে ঝরে পড়ছে। স্কুল কলেজ থেকে আমাদের এলাকাটি এক মোনাজাত ধ্বংস করে দিচ্ছে ।

রাতুলের কাছে ফোন দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার সাথে ফোন কেটে দেয়। হাসানের সাথে কথা হলে সে মাদক ব্যাবসার সাথে জড়িত না বলে জানান। মাদক ব্যাবসায়ী মোজাতের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তার স্ত্রী ফোন রিসিব করে বলে তার স্বামী ঘুমাচ্ছে। এই বিষয় কৈখালী ইউনিয়নে ইউপি সদস্য আমিনুর রহমান কাছে জানতে চাইলে বলেন, মোনাজাত অনেক দিন ধরে অবৈধ ব্যবসা করে এটা সবাই জানে এটা নতুন কোন কথা নয়। আমি একা না, এলাকার সবাই কম বেশি জানে এর জন্য কয়েক বার জেল ও খেটেছে।

এই বিষয় চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম কাছে জানতে চাইলে বলেন, মোনাজাত একজন চিহ্নিত মাদক সম্রাট এলাকা থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তি আমার কাছে ফোন দেয় ইতিপূর্বে মোনাজাতের বিরুদ্ধে আমার কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদে রেজুলেশনও হয়েছে কিন্তু কোনভাবে মোনাজাতকে দমন করতে পারছি না। মোনাজাতের একটি সঙ্ঘবদ্ধ দল আছে যার কারণে ওই এলাকাবাসী ভয়ে কিছু করতেও পারছে না। ইতিপূর্বে বিভিন্ন প্রশাসনের দপ্তরে লিখিত মৌখিক অভিযোগ করেও কোন ধরনের প্রতিকার পাচ্ছি না।

শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে কোন ছাড় নেই। আমরা সব সময় মাদক মুক্ত রাখতে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া যাদের বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ উঠেছে বিষয়টা আমরা খতিয়ে দেখবো।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট