মোঃ সাইফুল ইসলাম, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা……………………………………………….
দীর্ঘদিনের ভোগদখল ক্রয়কৃত গায়ের জোরে দখলকৃত জমি ফেরত পেতে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের মাজাট গ্রামের কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষের কয়েক`শ শতাংশ জমি জোরপূর্বক ভোগ করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের শেখ মোবারক আলী, শেখ আনিছুর রহমান, শেখ হাবিবুর রহমান, শেখ আমিনুর রহমান, শেখ মিজানুর রহমান, আরজ আলী, নুর আলী সরদারের বিরুদ্ধে।
জানাগেছে, ইতোপূর্বে ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা জমি ফিরে পেতে একাধিক ইউনিয়ন পর্যায়ে সালিশ বৈঠক করলেও তাতে সূরাহ হয়নি, বরং জমির মালিক দাবি করা লোকেরা তাদের দখল হওয়া জমি ফেরত চাইতে গেলে বিভিন্ন সময় মারধর ও হুমকি ধুমকিসহ জমি থেকে কোটি টাকার মূল্যবান গাছ কেটে বিক্রি করা, জমির ফসল জবরদখল ও বিভিন্ন গাছ লাগিয়ে জমি দখলে রাখা। এছাড়া জমির কাগজপত্র জাল জালিয়াতি করে জমি দখলের অভিযোগ ওঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।
সূত্র জানায় জেলা সাতক্ষীরা, থানা শ্যামনগর, মৌজা মাজাট অনন্তপুর, জে এল নং- ০২, এস.এ. খতিয়ান নং- ১০৩। প্রজা মাদার আলী খাঁ, আব্দুস ছোবাহান খাঁ, পিতা- গোরাই খাঁ। উক্ত খতিয়ানে ৩৪১ দাগে ০.৯৮ একর সম্পত্তির রেকর্ড প্রকাশিত হয়। তন্মধ্যে এস.এ প্রজা আব্দুস ছোবাহান খাঁ এর প্রাপ্যংশের ০.৪৯ শতক সম্পত্তি বিগত ইংরাজী ১১/০৬/৬৩ তারিখের ৩৭৮২ নং দলিলে গ্রহীতা মুন্সী রহিম বক্স, পিতা- মৃত মফিজউদ্দীন শেখ এর বরাবর হস্তান্তর করেন। পুনরায় উক্ত সম্পত্তি রহিম বক্স ইংরেজী ২৩/০৯/৮২ তারিখের ৭৪০১ নং দানপত্র দলিলে গ্রহীতা মোরছালিন, দাউদ আলী, গোলাম মোস্তফা, মোকছেদুর রহমান ও সিরাজুল হক, সর্বপিং- এছাহাক শেখের বরাবর হস্তান্তর করেন।
গ্রহীতাগণ উক্ত সম্পত্তি হাল জরীপে বি.এস ১১৪ নং খতিয়ানে হাল ৪০৪ দাগে রেকর্ড প্রাপ্ত হয়ে সুদীর্ঘকাল যাবত শান্তিপূর্ন ভাবে ভোগদখলে ছিলেন। উক্ত সম্পত্তিতে হাল সন পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ আছে। একই মৌজার এস.এ খতিয়ান নং- ৭৪, প্রজা ছকিনা বিবি, হিরু বিবি, জয়গুন বিবি, মুক্ত বিবি ও কাঞ্চন বিবি। উক্ত এস. এ প্রজাগণ বিগত ইংরেজী ১৩/০২/১৯৭৪ তারিখের ৭৫৯ নং রেজিস্ট্রী কোবালা দলিলে গ্রহীতা মুজিবর রহমান, আব্দুর রহমান, সর্বপিং- মৃত আরশাদ আলী শেখ, মোঃ ফজলুল করিম, পিতা- মোঃ আব্দুল আজিজ এদের বরাবর সাবেক ১৩৭ ও ২৬৮ নং দাগে ০.২৭, শতক সম্পত্তি হস্তান্তর করেন।
গ্রহীতাগণ উক্ত সম্পত্তিতে ভোগদখলী থাকাবস্থায় হাল জরীপে বি.এস ৩১ নং খতিয়ানে হাল ১৬২ দাগে ০.২৫ শতক সম্পত্তির রেকর্ড প্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে উক্ত সম্পত্তিতে বর্তমানে পুকুর কেটে এবং পূর্ব পার্শ্বে নিজস্ব পথ হিসাবে ভোগদখলে রয়েছে। অথচ ১ম উক্ত হাল ১৬২ দাগের চৌহদ্দী না দিয়ে হাল ১৬১ দাগের ভিটা বাড়ীর চৌহুদী দিয়েছে। প্রকৃত ১৬২ দাগের চৌদ্দী হলো: উত্তরে- ১৫৭ দাগের রেকর্ডীয় পথ । দক্ষিনে- আঃ আজিজ দিং, পূর্বে- রাস্তা ও আঃ আজিজ দিং, পশ্চিমে- ২য় পক্ষের বাড়ি। যাতে ১ম পক্ষের দাবীকৃত চৌহদ্দীর সাথে কোন মিল নেই। উক্ত সম্পত্তিতে হাল সন পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ আছে। একই মৌজার এস.এ খতিয়ান নং- ১১৬, প্রজা- শেখ শাহাদাত আলী, শেখ ইলিয়াস আলী,পিতা- শেখ রেফাজ উদ্দীন, লুৎফর রহমান খাঁ, খলিলুর রহমান খাঁ,খবির আহম্মদ Ve।।. আব্দুল মকছুদ, আব্দুল হামিদ, উক্ত খতিয়ানে ৩৩১ দাগে ১.৭৯ একর সম্পত্তির রেকর্ড প্রকাশিত হয়।
বেদখল হওয়া জমির মালিক দাবিকারী পরিবার বাদী পক্ষে সিরাজ ইসলাম,আব্দুল্লা খাঁ, আয়ুব আলী সরদার, শেখ মজিবার রহমান। ভুক্তভোগী পরিবার জমি উদ্ধারের জন্য প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন।#