# জহর হাসান সাগর, তালা, সাতক্ষীরা থেকে……………………………..
সাতক্ষীরা তালা উপজেলার সুভাষিনী সৈয়দ দিদার বখত বালিকা বিদ্যালয়ে অর্ধকোটি টাকায় অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলন করেন। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর দু’টার সময় তালা প্রেস ক্লাবের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে কালো টাকায় বিনিময়ে রাতের আঁধারে অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে ভুক্তভোগী উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের সুভাষিনী গ্রামের মোঃ আনছার আলী শেখের ছেলে, সৈয়দ দিদার বখত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে চাকুরীর প্রত্যাশি মিজানুর রহমান বলেন, গত ২৬/০৪/২৩ ইং তারিখে দৈনিক যুগের বার্তা’ পত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মারফত অবগত হয়ে সৈয়দ দিদার বখত্ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী (৩য় শ্রেনী) শূন্য পদে আবেদন করে। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এম এম মিজানুর রহমান এর স্বাক্ষরিত ২৪/০৮/২৩ইং তারিখে পত্র মারফত লিখিত ও মৌখিক পরিক্ষায় অংশ গ্রহনের জন্য একটি প্রবেশ পত্র স্থায়ী ঠিকানা বরাবর প্রেরণ করেন। উক্ত প্রবেশ পত্রে উল্লেখ থাকে ০১/০৯/২৩ইং তারিখ রোজ শুক্রবার সকাল ০৮:৩ টার সময় পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হইবে। উক্ত প্রবেশ পত্রে পরিক্ষা নির্দেশিত সময় সূচী ও স্থান উল্লেখের পাশাপাশি আমার ক্রমিক নং- ০৮ তাহা অবগত করেন।
সংবাদ সম্মেলন দিদার বকত আরো বলেন, আমি পরিক্ষার দিন নির্ধারিত সময় সূচীর ১৫ মিনিট পূর্বে কেন্দ্রে পৌছাইয়া জানতে পারে যে তিনি পৌছানোর পূর্বে সকল পরিক্ষা পূর্বক রাতের আধারে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসাবে এবং সরকারী পোষ্টাল অর্ডার সহ সকল বিষয় সমূহ যথাযথ ভাবে পালন করে চাকুরির জন্য আবেদন করি। পরিক্ষার নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে হাজির হয়েও পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারিনি। আমি যদি বাংলাদেশের বাসিন্দা হয়ে থাকি তাহলে আমাকে কেন পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে দেওয়া হলনা? আমি মনে করি আমি উক্ত পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করলে মেধা তালিকার শির্ষে থেকে আমি নির্বাচিত হতাম। কিন্তু আমাকে সুযোগ দেওয়া হয়নি এবং এই নিয়োগটি অর্থনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।
অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্নে আমার বাড়ি হওয়ায় এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানে আমার পূর্ব পুরুষ জমি দাতা ও আমি জমি দাতা পরিবারের সদস্য হওয়ায় উক্ত প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য দরখাস্ত দাখিলের পর আমি ও আমার পরিবার প্রতিষ্ঠনের প্রধান শিক্ষক, সভাপতি সহ প্রতিষ্ঠান ও উক্ত নিয়োগের সংশ্লিষ্ট মহলের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করি। সেই সময় প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এম, এম মিজানুর রহমান আমার চাকুরির জন্য স্কুল উন্নয়ন কাজের জন্য বিশ লক্ষ টাকা দাবি করেন।
দিদার বকত ষোল লক্ষ টাকা দিতে চাইলে তারা জানান চাহিদা মোতাবেগ অর্থ না দিলে চাকুরি হবেনা মর্মে অবগত করেন । তিনি আভিযোগ করে বলেন, তিনটি পদে নিয়োগ গোপনে টাকার বিনিময়ে দেওয়া হয়েছে । যাতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সভাপতি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার যোগাযোগে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছে।
দিদার বকত বলেন, যেহেতু আমাকে পরিকল্পিতভাবে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে চায় এবং অংশগ্রহন করার দাবিদার। আমি শিক্ষিত বেকার যুবক হিসাবে অত্র নিয়োগ বাতিল পূর্বক পুনরায় নিয়োগ দেওয়ার জন্য জেলা শিক্ষা অফিসার, সাতক্ষীরা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, তালা, জেলা প্রশাসক, সাতক্ষীরা, বিভাগীয় শিক্ষা অফিসার, খুলনা, বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড, খুলনা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা, গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রী মহোদয়, গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান মন্ত্রী দেশ রত্ন শেখ হাসিনার কাছে আমার আকুল আবেদন।#