আব্দুল বাতেনঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর, পাকা, ও দুর্লভপুর এই তিনটি ইউনিয়নে পদ্মা নদীর ভাঙন এখন এক ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রতিদিনই নদীর গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে বসতভিটা, ফসলি জমি আর মানুষের জীবনের স্বপ্ন। এই ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় দুর্লভপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর পদ্মা নদীর তীরে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে স্থানীয় কৃষক মতিউর রহমান কণ্ঠ ভারী করে বলেন, “পদ্মার ভাঙনে তিন বিঘা জমি নদীতে চলে গেছে। এখন পরিবার নিয়ে কোথায় থাকব, কীভাবে খাব তা বুঝতে পারছি না। সরকার যদি বাঁধ না দেয়, তাহলে আমাদের সবকিছুই হারাতে হবে।” এলাকার গৃহবধূ রহিমা বেগম বলেন, “গত মাসেই আমাদের ঘরটা ভেঙে পড়ল নদীতে। এখন স্বামী-সন্তান নিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে ঠাঁই নিয়েছি। প্রতিদিন আতঙ্কে আছি, আর কতটুকু ভাঙবে কে জানে!”
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মতে, গত পাঁচ বছরে দুর্লভপুর, পাকা উজিরপুর এই তিনটি ইউনিয়নের অন্তত কয়েক হাজারের বেশি পরিবার পদ্মার ভাঙনে গৃহহীন হয়েছে। কয়েক হাজারএকর উর্বর কৃষিজমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এর পাশাপাশি কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , কয়েকটি মসজিদ ও বেশ কিছু কবরস্থানও নদীর ভাঙনে তলিয়ে গেছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এখনই পদক্ষেপ না নিলে পুরো ঝালপাড়া গ্রাম ও আশপাশের এলাকা মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে পারে। তাই অবিলম্বে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তারা।
স্থানীয় শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, “নদী ভাঙনের কারণে শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না। প্রতিদিন ভয় থাকে, আজকে হয়তো স্কুলটাই নদীতে চলে যাবে।” মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নিয়ে একটাই দাবি তুলেছেন, “স্থায়ী বাঁধ চাই, ভাঙন রুখতে হবে এখনই।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রোকনুজ্জামান রোকন নির্বাহী সম্পাদক: ইফতেখার আলম সম্পাদক কর্তৃক উত্তর নওদাপাড়া, পো: সপুরা, রাজশাহী-৬২০৩ থেকে প্রকাশিত। মোবাইল: ০১৭১১-২০৮ ১৭২, ০১৮৩৪-৮৬১ ০০৭ ইমেইল: [email protected]
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ নগর