1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Rokon :
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:১১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ:
বাংলার আধ্যাত্মিক ইতিহাসের উজ্জ্বল নক্ষত্র শাহ নিয়ামতউল্লাহ (র:) রাজশাহীতে ফ্লাইওভারের নিচ থেকে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার রাজশাহীর পবা থেকে সংঘবদ্ধ মাদকচক্রের ৩ সদস্যকে ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার সাঘাটায় হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ডেভিল হান্ট তালিকা ভুক্ত হলেও প্রকাশ্যে ত্রাণ বিতরণ ‌ পুঠিয়ায় জবাইকৃত গাভীর পেট থেকে বাছুর , এলাকায় চাঞ্চল্য পুঠিয়ায় সপ্তাহব্যাপী মশকনিধন কর্মসূচি শুরু পৌর প্রশাসক শিবু দাসের উদ্যোগে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষ পদক্ষেপ রূপসায় পত্রিকার সাইনবোর্ড ভাংচুরের দ্বায়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ‎ রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে বিএনপির যোগ্য প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দীন বাঘায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করে পাশে দাড়ালেন বিএনপি নেতা চাঁদ নওগাঁর রাণীনগরে ভ্যানের ধাক্কায় এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

রাসিকের ১৯ নং কাউন্সিলর সুমনের বিরুদ্ধে সরকারী জমি দখলের অভিযোগ

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৪৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

# জিয়াউল কবীর, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার………………………………..

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) ১৯ নং ওয়ার্ডের বহুল আলোচিত কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমনের দুই নিকটাত্নীয়ের বিরুদ্ধে রেলওয়ের জমি দখলে নিয়ে কারখানা ও বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।

একই ওয়ার্ডের হাজরাপুকুর এলাকায় একটি পুকুর ভরাট করে সেখানে কারখানা তৈরি করে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা ও দুই তলা বিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন তারা। যাদের বিরুদ্ধে রেলওয়ের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে তারা হলেন- ক্ষমতাসীন দল আ’লীগের ১৯ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম ও রেলওয়ের সাবেক কর্মচারী খাদেমুল ইসলাম। কামরুল ইসলাম ও খাদেমুল ইসলাম সম্পর্কে পরষ্পরের বেয়াই হন।

এদিকে রেলওয়ের জমি দখলের বিষয়টি জানতে পেরে  বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকের একদল সাংবাদিক হাজরাপুকুর এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে সাংবাদিক প্রতিনিধি দলটি ঘটনার সত্যতা পান। পরে রেলওয়ের জমি দখলের বিষয়টি সাংবাদিকরা  স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমনের কাছে জানতে চান। জমি দখলের বিষয়ে জানতে চাওয়ায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন মেজাজ হারিয়ে ফেলেন এবং ক্ষুব্ধ হয়ে  সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন।

তিনি বলেন, কেউ রেলওয়ের জমি দখল করলে রেলওয়ে দেখবে আপনি দেখার কে? ফাইজলামি করেন? এ কথা বলেই মোবাইল সংযোগ কেটে দেন তিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ১৯ নং ওয়ার্ড আ’লীগের অন্যতম এক র্শীর্ষ নেতা কয়েকটি জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিককে ডেকে নিয়ে আ’লীগ নেতা কামরুল ইসলাম ও রেলওয়ের সাবেক কর্মচারী খাদেমুল ইসলামের বিরুদ্ধে জমি দখলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বছর দশেক আগে হাজারাপুকুর এলাকায় থাকা একটি পুকুর ভরাট করেন আ’লীগ নেতা কামরুল ইসলাম ও রেলওয়ের সাবেক কর্মচারী খাদেমুল ইসলাম। এরপর সেখানে একপাশে কারখানা স্থাপন করেন কামরুল ইসলাম। এই কারখানায় লোহার দরজা, জানালাসহ গৃহ নির্মাণের বিভিন্ন ধরণের সামগ্রী তৈরি করা হয়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে তৈরি মডেল মসজিদের জন্য দরজা-জানালা সরবরাহ করা হয় এই কারখানা থেকে।

তিনি বলেন, কামরুল ইসলাম এই কারখানায় ব্যবসা করে প্রতি মাসে বিপুল টাকা আয় করেন। রেলওয়ের জমি দখল করে ব্যবসা করলেও কেউই তার কিছুই করতে পারবে না বলে দম্ভোক্তি প্রকাশ করেন কামরুল ইসলাম।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ১৯ নং ওয়ার্ড আ’লীগের ওই র্শীর্ষ নেতা আরো বলেন, কামরুল ইসলামের কারখানার আরেক পাশে রেলওয়ের জমিতে দুই তলা বিশিষ্ট পাকা বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন খাদেমুল ইসলাম। জানতে চাইলে নাম প্রকাশ নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেলওয়ে শ্রমিকলীগের এক নেতা বলেন, আ’লীগ নেতা কামরুল ইসলাম ও রেলওয়ের সাবেক কর্মচারী খাদেমুল ইসলাম হাজরাপুকুর এলাকায় রেলওয়ের জমি দখল করে সেখানে কারখানা ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এতে কোনো সন্দেহ নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমনের নিকটাত্নীয় হওয়ায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সেখানে কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে না বলে অভিযোগ রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের সাথে সম্পৃক্ত ও কাউন্সিলর সুমনের নিকটাত্নীয় হওয়ার সুবাদে তারা দাপট দেখান। রেলওয়ের জমি দখল করে কারখানা ও বাড়ি নির্মাণ করায় তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজনেরও অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু কাউন্সিলরের ভয়ে তারা কিছু বলতে পারেন না।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ১৯ নং ওয়ার্ড এলাকায় রেলওয়ের অনেক জমি রয়েছে। রেলওয়ের জমিতে থাকা বস্তিসহ আরো কয়েকটি জায়গা মাদক কারবারি ও মাদক সেবীরা নিরাপদ আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। এতে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কারও কোনও মাথা ব্যথা নেই।

জানতে চাইলে ১৯ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম বলেন, রেলওয়ে জমি পেলে তা মেপে বের করে নেবে। এতে আমার কোনো সমস্যা নেই। রেলওয়ের কতটুকু জায়গা দখল করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি বলবো কেন? রেলওয়ে মেপে বের করে নেবে। জানতে চাইলে আরেক অভিযুক্ত রেলওয়ের সাবেক কর্মচারী খাদেমুল ইসলাম কল রিসিভ করেননি। ফলে এ ব্যাপারে তার বক্তব্য জানা যায়নি।

রেলওয়ের জমি দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল সুমন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন এবং মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, কেউ রেলওয়ের জমি দখল করলে সেটা রেলওয়ে দেখবে আপনি দেখার কে? ফাইজলামি করেন? আমাকে ফোন দিয়েছেন কেন? একথা বলেই মোবাইল সংযোগ কেটে দেন তিনি।

বাউণ্ডারি ওয়াল নির্মাণ ও রেলওয়ের জমি দখল সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা (উপ-সচিব) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম প্রকৌশল শাখার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী (কার্য) বাবুল আক্তার জানান, আমরা পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছি। বাউণ্ডারি ওয়াল নির্মাণের কাজ চলছে। কোনো স্থাপনা কাজের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে তা উচ্ছেদ করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দখলদারদের উচ্ছেদে আমরা দ্রুতই চিঠি ইস্যু করবো। তখন এস্টেট শাখা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেবে।

জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার জানান, আমরা বিষয়টি তদন্তে রেলওয়ের জমি দখলের বিষয়টি প্রমাণিত হলে দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।#

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট