মোঃ মমিনুল ইসলাম মুন বিশেষ প্রতিনিধি : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রোগীদের সেবার দায়িত্বে না থেকেও ট্রলি ঠেলছেন দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীরা। এতে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে টাকা, যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের নির্ধারিত মজুরি দিচ্ছে।
বুধবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাজশাহীর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান চালিয়ে এ অনিয়মের চিত্র দেখতে পায়। এছাড়া হাসপাতালের বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ার ক্ষেত্রেও অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে দুদক। এছাড়া ওষুধ ব্যবস্থাপনায় গড়মিলের অভিযোগে রামেক হাসপাতালের আউটডোর ডিসপেনসারির ফার্মাসিস্ট ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম ও মেইন স্টোরের ফার্মাসিস্ট মীর শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধেও তদন্ত করছে দুদক।
অভিযোগে বলা হয়, শর্ট স্লিপে ওষুধের হিসাব মেলেনি—বিশেষ করে মন্টিলুকাস, মেটফরমিন, ওরস্যালাইন, প্যারাসিটামলসহ বেশ কিছু ওষুধে গড়মিল রয়েছে। এই অভিযোগ যাচাইয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইনকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়। তারা হাসপাতালের বিভিন্ন নথিপত্র পর্যালোচনা করে সঙ্গে নিয়ে যায়।
দুদকের সহকারী পরিচালক বলেন, “দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারীরা নিয়ম বহির্ভূতভাবে ট্রলি পরিচালনা করছে। অ্যাম্বুলেন্স ভাড়াতেও অনিয়ম রয়েছে। এ বিষয়ে কমিশনে প্রতিবেদন দেওয়া হবে, এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. হাসানুল হাসিব বলেন, “যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাদেরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ওষুধের অনিয়ম নিয়ে আমরা এখনই চিন্তিত নই, এসব অভিযোগ প্রায়ই আসে।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রোকনুজ্জামান রোকন নির্বাহী সম্পাদক: ইফতেখার আলম সম্পাদক কর্তৃক উত্তর নওদাপাড়া, পো: সপুরা, রাজশাহী-৬২০৩ থেকে প্রকাশিত। মোবাইল: ০১৭১১-২০৮ ১৭২, ০১৮৩৪-৮৬১ ০০৭ ইমেইল: [email protected]
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ নগর