বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার সদ্য প্রকাশিত ফলাফলে বাঘা উপজেলা থেকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন রহমতুল্লাহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মরিয়ম আক্তার ঋতু । তিনি ১৩০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ১২৬৫ নম্বর। তার সাফল্যে খুশি মা-বাবা ও শিক্ষকরাও।
মরিয়ম আক্তার ঋতু,উপজেলার বাঘা পৌরসভার চন্ডিপুর গ্রামের বজলুর -সাজেদা দম্পতির মেয়ে। তার বাবা বজলুর রহমান পাট-আমের ব্যবসায়ী। মা সাজেদা খাতুন উপজেলার বানিয়াপাড়া বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত আছেন।
এসএসসিতে সেরা সাফল্য অর্জন করা মরিয়ম আক্তার ঋতু বলেন, ‘ ভালো নম্বর পেতে হলে শিক্ষকদের সহায়তায় ও নিজের চেষ্টায় হ্যান্ড নোট করে গাইড বই নির্ভরতা কমাতে হবে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাইড বই পড়ে পরীক্ষার হলে লিখে ভালো ফলাফল আশা করা যায় না। ভালো ফলাফলের জন্য ব্যতিক্রম লেখা প্রয়োজন ’।
তিনি বলেন, আমি প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিনই শেষ করতাম, এর জন্য ‘স্পেশাল শিডিউল’ করেছি। বিশেষ করে পরীক্ষা শুরুর আগের তিন মাস আমি ক্লাসের পরেও প্রতিদিন অন্তত ৮ ঘণ্টা পড়াশুনা করেছি। নিয়মিত ক্লাস ও মনোযোগ দিয়ে পড়াশুনা করলে সব শিক্ষার্থীই ভালো ফলাফল করতে পারবে। তবে গাইড বইয়ের উপর নির্ভরতা থাকলে ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব নয়। আগামীতে তারস্বপ্নের কথা জানিয়ে বলেন, বিসিএস পরীক্ষায় সফলকাম হলে সরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক কিংবা প্রশাসক হতে চায়। স্বপ্ন পূরণে লেখা পড়া করে ভবিষ্যতে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিতে চায়।’
বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ১০ জুলাই চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ছিল ৭৭.৬৩ শতাংশ। এই বোর্ডের অধীনে রহমতুল্লাহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মরিয়ম আক্তার ঋতু ১৩০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ১২৬৫ নম্বর । বিদ্যালয়টির পাশের হার ৯১.৭৩। ৭৮ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ৭১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১ জন।
মরিয়ম আক্তার ঋতুর মা স্কুল শিক্ষিকা সাজেদা খাতুন বলেন, তার মেয়ে ছোটবেলা থেকেই লেখা পড়ায় মনোযোগী। সে রহমতুল্লাহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণিতে দ্বিতীয় হয়েছিল। ৬ষ্ট শ্রেণী থেকে অষ্টম,নবম ও দশম শ্রেণীতে প্রথম ছিল। প্রধান শিক্ষকসহ সব শিক্ষকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কলে বলেন,তার জন্য স্কুলের শিক্ষকরা অনেক পরিশ্রম করেছেন।
এদিকে,১২৫০ নম্বর পেয়েছে উপজেলার জোতরাঘব উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শিক্ষার্থী মনিরা খাতুন। তিনি বাঘা উপজেলার রাজুবাঘা ইউনিয়নের জোতরাঘব গ্রামের শফিউল আযমের মেয়ে। মনিরা খাতুন চিকিৎসক অথবা প্রকৌশলী হতে ইচ্ছুক। বিদ্যালয়টির ২৩ জন পরীক্ষা দিয়ে ২৩ জনই পাশ করেছে। অপরদিকে, ১২৪৯ নম্বর পেয়েছেন ইসলামী একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিদ আহমেদ। তিনি সিরাজুল ইসলামের ছেলে। প্রশাসন ক্যাডার হতে চান সাজিদ আহমেদ।
পরীক্ষার ফল নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রহমতুল্লাহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল ইসলাম বলেন, যারা পরিশ্রম করে পড়াশোনা করেছে, তারাই ভালো ফলাফল করেছে। মরিয়ম আক্তার ঋতুর এই সাফল্যে আমরা গর্বিত।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রোকনুজ্জামান রোকন নির্বাহী সম্পাদক: ইফতেখার আলম সম্পাদক কর্তৃক উত্তর নওদাপাড়া, পো: সপুরা, রাজশাহী-৬২০৩ থেকে প্রকাশিত। মোবাইল: ০১৭১১-২০৮ ১৭২, ০১৮৩৪-৮৬১ ০০৭ ইমেইল: [email protected]
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ নগর