# বাগমারা প্রতিনিধি.......................................................
রাজশাহীর বাগমারায় নরদাশ ইউনিয়নের হাতিয়ার বিলের এক কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ওই সংঘর্ষে দু’পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে নরদাশ গ্রামের মৎস্য চাষী জোনাব আলী (৪৪), কর্মচারী বেলাল হোসেন (৩৮), আবেদ আলী (২৬), বাবুল হোসেন (৪০) ও জোনাব আলী (৩৫) কে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সংঘর্ষের পর থেকেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
খবর পেয়ে হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ও বাগমারা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলেল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে। ওই সংবাদ লেখা পর্যন্ত থানায় কোন পক্ষই মামলা করে নি বলে জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের হাতিয়ার বিলের চারিধারের পাঁচটি গ্রামের প্রায় ৬ থেকে ৭শ’ লোক ( জমির মালিকেরা) মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। প্রায় মাস খানেক পূর্বে মাছ চাষীদের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ জন সংঘবদ্ধ হয়ে জমি লীজের টাকা বাড়ানোর দাবী জানান। সেই মোতাবেক মৎস্যচাষীরা ১৩ হাজার টাকা থেকে বিঘা প্রতি ২০ হাজার টাকা বাড়িয়ে দিয়ে মাছ চাষের জন্য মোখিক চুক্তিবদ্ধ হন। ওই মোতাবেক বিলের অধিকাংশ জমির মালিকেরা জমি লীজের টাকা নিয়ে যান। কিন্তু পূর্বের মৎস্য চাষীদের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ জন জমির টাকা না নিয়ে ঝামেলা বাধানোর জন্য বাইগাছা গ্রামের কয়েকজন জমির মালিককে দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার ১ ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মৎস্য চাষী জোনাব আলী বিলের কর্মচারী বেলাল হোসেন ও আবেদ আলী মাধনগর গ্রামের দীঘিতে মাছ দেখতে গেলে বিলের পূর্বের মৎস্য চাষী মজিবুর রহমান, জোনাব আলী, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল মতিন সংঘবদ্ধ হয়ে ধারালো দেশীয় অস্ত্র হাসুয়া নিয়ে তাদের উপর আক্রমন করে।
খবর পেয়ে বিলের অন্যান্য মৎস্যচাষীরা মাধনগরে ছুটে যান এবং দু’’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ওই সংঘর্ষে দু’পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। মৎস্যচাষী হাতিয়া বিলের সাধারণ সম্পাদক সুজনপালশা গ্রামের আব্দুল মতিন জানান, ২০০৯ সাল থেকে হাতিয়ার বিলের চারধারের ৬ থেকে ৭শ সদস্য নিয়ে মাছ চাষ করে আসছি। কোন ধরনের ঝামেলা ছিল না। কিন্তু ক্ষমতাসীন দলের জনৈক ব্যক্তিকে টাকা না দেয়ায় তিনি মৎস্য চাষীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। যার কারণে বিলের জমির মালিকদের ১৩ হাজার টাকা করে দেয়ার কথা থাকলেও সেখানে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। যাতে কোন ধরনের ঝামেলার সৃষ্টি না হয়। অথচ গুটি কয়েক লোকজন নিয়ে তারা বিলের শত শত মৎস্যচাষীকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখানোর চেষ্টা করছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
অপর দিকে ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গোলাম সরওয়ার আবুল জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আমি নিস্পত্তির চেষ্টা করেছি। একটি পক্ষ না আসায় আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টির ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জমা দিয়েছি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, বিল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় এক পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।#
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রোকনুজ্জামান রোকন নির্বাহী সম্পাদক: ইফতেখার আলম সম্পাদক কর্তৃক উত্তর নওদাপাড়া, পো: সপুরা, রাজশাহী-৬২০৩ থেকে প্রকাশিত। মোবাইল: ০১৭১১-২০৮ ১৭২, ০১৮৩৪-৮৬১ ০০৭ ইমেইল: [email protected]
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ নগর